মেসি-গ্রিজম্যানরা করোনা নেগেটিভ

7

স্পোর্টস ডেস্ক :
করোনা পরীক্ষার একদিন পর ফলাফল হাতে পেয়েছেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। পরীক্ষায় তাদের কারো শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ফলে আজ শুক্রবার (৮ মে) থেকে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন শুরু করতে পারবেন মেসি-গ্রিজম্যানরা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ এমনটাই জানিয়েছে।
বুধবার (০৬) বার্সার সব খেলোয়াড়কে ক্লাবের অনুশীলন মাঠ ‘হুয়ান গাম্পার ট্রেনিং কমপ্লেক্স’-এ সশরীরে হাজির হয়ে করোনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ইনজুরির সঙ্গে লড়তে থাকা উসমানে দেম্বেলে হাজির হতে পারেননি। ফলে ফরাসি ফরোয়ার্ডের করোনা পরীক্ষা এখনও বাকি রয়ে গেছে।
এদিকে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবকে পেছনে ফেলে ফের শুরু হতে যাচ্ছে স্প্যানিশ লা লিগা। এ উপলক্ষে অনুশীলনে ফেরার প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে ক্লাবগুলো। তবে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর মধ্যে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।
লা লিগা কর্তৃপক্ষ আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে, জুনে মাঝামাঝি ফিরতে পারে স্পেনের এই শীর্ষ লিগ। সব ক্লাবকে তাই বলে দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়-কোচদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। বুধবার (০৬ মে) তাই নিজ নিজ ক্লাবের অনুশীলন মাঠে করোনা পরীক্ষা করাতে হাজির হয়েছিলেন বার্সার মেসি, আঁতোয়া গ্রিজম্যান থেকে শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদের ইডেন হ্যাজার্ড, করিম বেনজেমারা।
করোনা পরীক্ষার জন্য খেলোয়াড়দের ক্লাবের অনুশীলন মাঠে হাজির করা হলেও সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই যার যার কাজ সেরেছেন। মেসি গাড়িতে এসেছেন কাজ সেরে দ্রুত বিদায় নিয়েছেন। এমনকি বহুদিন পর নিজ শিষ্যদের কাছে পেয়েও তিন মিটার দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলেছেন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান। সবার মুখেই ছিল মাস্ক। কেউ কেউ হাতে গ্ল্যাভস পরেও এসেছিলেন।
লা লিগার আগেই অবশ্য প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দিয়ে চমকে দিয়েছে বুন্দেসলিগা। জার্মানির ঘরোয়া লিগ শুরু করার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে দেশটির সরকার। হয়তো এই মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফিরতে পারে এই লিগ। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে মাসের শেষ সপ্তাহে ফিরতে পারে বায়ার্ন মিউনিখ-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড সহ বাকিদের মহারণ।
মাঠে নামার আগে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য সবাইকে নিজ নিজ পরিবার ছেড়ে আলাদা টিম হোটেলে থাকতে হবে। খেলা শুরু হলেও মাঠে মাস্ক পরেই খেলতে হবে। খেলোয়াড়রা একসঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট পজিশনে জমায়েত হলে খেলা থামিয়ে দিতে পারবেন রেফারি। অন্যান্য শর্তগুলোর মধ্যে আছে- মাঠে থুতু ফেলা যাবে না, গোলের পর উদযাপনের জন্য সতীর্থকে জড়িয়ে ধরা যাবে না এবং খেলা হবে দর্শকশূন্য মাঠে। মাঠে থুতু ফেললে হলুদ কার্ড দেখতে হবে।
বুন্দেসলিগা এবং লা লিগার পর মৌসুম শুরুর পরিকল্পনা করছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগও। আগামী জুনেই মাঠে ফিরতে পারে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটিসহ অন্যান্য ক্লাব। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ক্লাব ও প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেই অবশ্য অনেক ক্লাব নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে।
ফুটবল ফেরানোর জন্য ফিফা’র পক্ষ থেকেও উদ্যোগের ঘাটতি নেই। এই যেমন ম্যাচ চলাকালীন ৫ জন করে বদলি খেলোয়াড় নামানোর ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।