সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলার কারণে কমলগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যকর্মীকে নাজেহাল ও অবরুদ্ধের অভিযোগ \ পুলিশি সহায়তায় উদ্ধার

15

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ নিতে বলায় রোগীর স্বামী ও সন্তান যৌথভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে নাজেহাল করে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যকর্মীকে উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের শ্রীসূর্য্য কমিউনিটি ক্লিনিকে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি (স্বাস্থ্যকর্মী) মো. রুহুল আমীন অভিযোগ করে বলেন, ধূপাটিলা গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী জোৎ¯œা বেগম কয়েকজন নারীকে নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা ও ঔষধ নিতে আসেন। এ সময় তাদের এক সাথে এতজন না এসে ৩ ফুট দুরত্বে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আসতে অনুরোধ করি। এ নিয়ে ঐ নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়ি গিয়ে তার স্বামী রাজা মিয়া ও ছেলে রিমন মিয়াকে পাঠান। তারা এসে আমার শার্টের কলারে ধরে টানা হেচড়া ও গালিগালাজ করে হামলা চালিয়ে আহত করে। পরে কমিউনিটি ক্লিনিকের বাইরে দরজায় তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
তবে অভিযুক্ত রাজা মিয়ার ছেলে রিমন মিয়া বলেন, স্বাস্থ্যকর্মী শুরু থেকেই তার মায়ের সাথে খারাপ আচরন করছেন। তাছাড়া ২ টাকার টিকেটের বদলে তিনি ৫ টাকা দাবি করেন। তার মায়ের কাছে টাকা না থাকায় তিনি বাড়ি থেকে টাকা নিতে এসে তাকে বিষয়টি জানালে, সে মায়ের সাথে খারাপ আচরনের কারণ জানতে গিয়েছিল। সে ও তার বাবা স্বাস্থ্যকর্মীকে কোনভাবে নাজেহাল ও অবরুদ্ধ করেনি বলেও জানায়।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, করোনা সংক্রমণকালে ঝুঁকি নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলায় স্বাস্থ্যকর্মীকে নাজেহাল ও অবরুদ্ধ করে রাখলে পুলিশি সহায়তা উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি ইউএনও এবং থানার ওসি সাহেবকে অবহিত করা হয়েছে।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী লাঞ্চিতের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, সেখানে অবরুদ্ধের মতো কিছু পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত ছেলের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।