জগন্নাথপুরে বেড়িবাঁধ কাটা নিয়ে বড় ধরণের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেলেন এলাকাবাসী

70

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ কাটা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বেতাউকা ও বেতাউকা নোয়াহাটি গ্রামে।
সরজমিনে স্থানীয়রা জানান, শনিবার বেতাউকা গ্রাম এলাকার ১৮নং পিআইসি কমিটির নির্মাণ করা সরকারি বেড়িবাঁধ বেতাউকা নোয়াহাটি গ্রামের ১৫/২০ জন লোক কেটে ফেলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া বাধা দিলেও কাজ হয়নি। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে নোয়াহাটি গ্রামের প্রায় অর্ধ শতাধিক লোক সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বেতাউকা গ্রামে এসে ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়াকে হাকডাক করেন এবং ৬ রাউন্ড বন্দুকের ফাকা গুলি বর্ষণ করলে গ্রামে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসলে তারা ফিরে যায়।
পরে আবার ১২ এপ্রিল রবিবার সংঘর্ষের জন্য নোয়াহাটি গ্রামের লোকজন আসলে ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়ার পক্ষেও বেতাউকা গ্রামের লোকজন এগিয়ে গেলে দুই পক্ষ সংঘর্ষের জন্য মুখোমুখি অবস্থান নিলে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া ধার্য ধারণ করায় ও বিভিন্ন গ্রামের শালিসি ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বড় ধরণের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তা না হলে বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হতো।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া বলেন, এখনো হাওরের বোরো ধান কাটা হয়নি। এর মধ্যে বেড়িবাঁধ কাটা হচ্ছে দেখে বাধা দেয়ার কারণে আমাকে প্রাণে মারার জন্য নোয়াহাটি গ্রামের ফয়জুল হক ও মফিজ উল্লার লোকজন দুই বার আমার বাড়িতে হামলা করতে এসেছে। এর মধ্যে রাতে ৬ রাউন্ড বন্দুকের গুলি বর্ষণ করেছে। আমি আমার লোকজনদের বাধা দেয়ায় ও শালিসি ব্যক্তিরা এগিয়ে আসায় বড় ধরণের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা হয়েছে। এলাকার প্রবীণ মুরব্বি ও শালিসি ব্যক্তি আবদুল হাসিম, আবদুল আহাদ চৌধুরী ও ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি জুয়েল চৌধুরী সহ অনেকে বলেন, শুধু ইউপি সদস্য জুয়েল মিয়া ধার্য ধারণ করায় বড় ধরণের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছেন এলাকাবাসী। তবে নোয়াহাটি গ্রামের পক্ষে অভিযুক্ত ফয়জুল হক বলেন, হাওর থেকে বাড়িতে ধান আনার জন্য বাধ কাটা হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে অন্যায় করেছি। সংঘর্ষের জন্য ছোটরা না বুঝে গিয়েছিল। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।