জৈন্তাপুরে অপহৃত উদ্ধার, অপহরক আটক

11

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুরে থেকে অপহরণের ৩ মাস ১২দিন পর নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে অপহরণকারীকে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় কানাইঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ কানাইঘাট উপজেলার রাজানগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহরনকারী সহ অপহৃত মেয়েকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়, গত বৎসরের (২৫ ডিসেম্বর ২০১৯) জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের মকুল মিয়ার ছেলে সাইদুর রহমান (২৩) একই গ্রামের পাত্র সম্প্রদায়ের নাবালিকা ছন্মনাম চাঁদনী (১৬) কে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় চাঁদনী পাত্রের মা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় গত (৭ মার্চ ২০২০) ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং- ০৮। মামলা দায়ের করার পর জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। গত (১১ মার্চ) কানাইঘাট উপজেলার রাজনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীকে আটক করতে ব্যর্থ হয়, এভাবে অপহরণকারীকে আটক করতে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পুলিশকে বার বার ধোকা দিয়ে পালিয়ে যায় অপহরণকারী। অভিযানের এক পর্যায় গত (৬ এপ্রিল) পুলিশ চিকনাগুল এলাকা থেকে এজাহার নামীয় ৩য় আসামী অপহরণকারীর বড় ভাই বিলাল উদ্দিন (২৮) কে আটক করে। বিলাল কে অপহরণ মামলায় আটক দেখিয়ে গত ৭ এপ্রিল আদালতে প্রেরণ করে। ঐদিন (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় কানাইঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় কানাইঘাট উপজেলার রাজানগর গ্রামে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের এস আই আতিকুর রহমান রাশেল অভিযান চালিয়ে ভিক্টিম সহ অপহরণকারী কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত ওমর ফারুক মুড়ল বলেন, এই অপহরণ মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর থেকে আমরা বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি অভিযান করি। অপহরণকারী কৌশলে স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। অবশেষে আমরা অপহরণকারীকে আটক করতে সক্ষম হই এবং ভিক্টিমকে উদ্ধার করি। বর্তমানে অপহরণকারী সহ ভিক্টিমকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেন।