সিলেটে প্রথম করোনা রোগী এক চিকিৎসক শনাক্ত, বাসা লকডাউন ॥ পুরো এলাকা লকডাউন চেয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর

66

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রবাসী অধ্যুষিত বলে খ্যাত সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেট এই প্রথম করোনা ভাইরাস (কেভিড-১৯) আক্রান্ত একজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। রবিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বর্তমানে বাসায়ই রয়েছেন। সিলেটের সিভিল সার্জন বলেন, তার বাসা লকডাউন করা হয়েছে।
রবিবার আইইডিসিআর থেকে যে ১৮ জন রোগী শনাক্তের কথা বলা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ওই রোগী। সিলেটে এই প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল বিকেল ৫টার মধ্যে ফার্মেসী ছাড়া নিত্যপূণ্য ও হাটবাজার বন্ধের ঘোষনা থাকায় সাধারণ মানুষদের বেশীর ভাগই ওই সময়ের মধ্যে নিজ নিজ বাসায় চলে যান আবার সন্ধ্যার পর যখন হাউজিং এস্টেটে করোনা রোগী সনাক্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের মধ্যে আতংকের মাত্রা আরোও বেড়ে যায়। রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়ে। যারা বাহিরে ছিলেন তারাও নিজ নিজ ঘরে চলে যান। নগরীর অনেকটাই ভূঁতুড়ে অবস্থায় পরিনত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারি পরিচালক ডা. আনিছুর রহমান জানান, আইইডিসিআর গত ২৪ ঘন্টায় যে ১৮ জন কোভিড-১৯ রোগী সনাক্তের কথা বলেছে তার মধ্যে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক রয়েছেন। তার শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্তের পর তার বাসা লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, আক্রান্ত চিকিৎসক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক। তিনি নগরীর সোবহানীঘাটস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে রোগী দেখতেন।
এদিকে রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আবারও এ ব্যাপারে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডলের সাথে ল্যান্ডফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর কয়েছ লোদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু তিনি ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, তার অনেকের সাথেই চলাফেরা ও উঠাবসা ছিল এ কারণে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং জনস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে পুরো এলাকাটি লকডাউন করা উচিত বলে আমি মনে করি। তিনি এ ব্যাপারে জানান এলাকার লোকজন আলাপ-আলোচনা করছেন তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন তাহলে পুরো এলাকা লকডাউন করা হবে।