সেনাবাহিনী মাঠে নেমে কাজ শুরু করেছে

17

কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণে দেশের সকল জেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভাইরাসটির বাংলাদেশে সংক্রমণ ও বিস্তৃতির ঝুঁকি রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে সারাদেশের প্রতিটি জেলায় সেনাবাহিনী স্থাানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশও করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তৃতি ঠেকাতে সরকার সারাদেশে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে সারাদেশের প্রতিটি জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্দেশনা মোতাবেক ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় দেশের সকল জেলার স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে এবং সমন্বয় করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রস্তুত ও বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের নেয়া উদ্যোগ বা গৃহীত পদক্ষেপে সহায়তা ও সমন্বয় করবে। এছাড়াও সেনাবাহিনী বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনে মেডিক্যাল সহায়তা প্রদান করবে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জানান, করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে মাঠে নামবে সশস্ত্র বাহিনী। নৌবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় কাজ করবে। বিমানবাহিনী হাসপাতালের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও জরুরী পরিবহন কাজে নিয়োজিত থাকবে। বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে তারা জেলা ও বিভাগীয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে। সেনাবাহিনী বিশেষ করে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের কেউ নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক সময় অবস্থান করতে ত্রুটি বা অবহেলা করছে কিনা, তা পর্যালোচনা করবে।