সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত পিডিবির খুঁটি না সরানোর অনুরোধ আইএসপি এসোসিয়েশনের

3
সিলেট আইএসপি এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মুহিবুর রহমান ইমন।

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারিদের সংগঠন সিলেট আইএসপি এসোসিশনের নেতৃবৃন্দ বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত পিডিবির খুঁটি না সরানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ অনুরোধ জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুহিবুর রহমান ইমন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক ক্যাবলের সাথে ইন্টারনেট ক্যাবলগুলো ভূগর্ভস্থ করার জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো ধরনের পদক্ষেপ ছাড়াই সম্প্রতি গণমাধ্যমে নোটিশ দিয়ে জানিয়েছেন সিলেটে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হলে তিনি কিংবা সিটি করপোরেশন দায়দায়িত্ব নেবে না। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটে ইন্টারনেট সেবায় বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসোসিয়েশনের আওতায় ৪০ থেকে ৪৫ টি ইন্টারনেট কোম্পানী বিটিআরসির লাইসেন্স নিয়ে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে। যার গ্রাহক সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার। বিকল্প ব্যবস্থা না করেেত পারলে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অচল হয়ে পড়বে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
তিনি বলেন, বর্তমানে শাহজালাল মাজার এলাকায় অনেক প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। জিন্দাবাজার এলাকায় সকল ইন্টারনেট কোম্পানীগুলোর মূল কার্যালয়। এখান থেকে পুরো নগরীতে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। যখন জিন্দাবাজার এলাকার খুঁটিগুলো অপসারণ করা হবে, তখন পুরো নগরীতে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হবে। তাই হাজার হাজার গ্রাহকের কথা চিন্তা করে বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত পিডিবির খুঁটিগুলো যেন সরানো না হয়।
মেয়রের সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আমাদেরকে নোটিশ দিয়ে জানান যে, আমরা যেন আম্বরখানা থেকে সার্কিট হাউস পর্যন্ত সকল ইন্টারনেট ক্যাবল সরিয়ে ফেলি। সিলেট নগরীকে তারবিহীন করতে এ পদক্ষেপ। আমরাও চাই একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন নগরী হোক সিলেট। কিন্তু ইন্টারনেট ক্যাবল সরানোর বিকল্প কোনো পদ্ধতি না রেখেই তিনি আমাদেরকে নোটিশ প্রদান করেন। এনিয়ে আমরা তাঁর সাথে বারবার বৈঠক করে কোন ফল পাইনি। ইন্টারনেট ক্যাবল ভূগর্ভস্থ করতে গেলে গ্রাহকের খরচ প্রায় ৫ গুণ বেড়ে যায়। তাই আমরা স্ট্রিট ল্যাম্পের সাথে ইন্টারনেট ক্যাবলের সংযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেই এবং তিনিও তাতে সম্মত হন। কিন্তু পরে এ সিদ্ধান্ত থেকেও তিনি সরে আসেন।
তিনি বলেন, মেয়র নিজে ডিজিটাল সিলেটের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু ইন্টারনেট সেবা চালু না থাকলে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না। তাই ইন্টারনেট ক্যাবল নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত যেভাবে আছে, সেভাবেই রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাসুদ রানা, ওয়াহিদুর রহমান, নাঈমুজ্জামান নাঈম, বাহার হোসেন, লাপাজ আল মাহমুদ, সাগর আহমেদ নিজাম, দেবব্রত পাল দেব, সত্যজীৎ দেব অর্ণব প্রমুখ।