সিলেটে ২য় দফায় বাবিককাকস ও বাকাসস’র কর্মবিরতি

15
পদবি ও বেতন স্কেল পরিবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মচারী সমিতি এবং বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২য় দফায় ৩ দিনব্যাপী পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির প্রথম দিনে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

পদবি ও বেতন স্কেল পরিবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মচারী সমিতি এবং বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২য় দফায় ৩ দিন ব্যাপী পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির প্রথম দিনে ৮ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। ২৫ ফেব্র“য়ারি মঙ্গলবার আলমপুরস্থ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট এর ১৩-১৬ গ্রেডের কর্মচারীগণ সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সারাদেশের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ের ১৩-১৬ গ্রেডের কর্মচারীগণ এ কর্মবিরতি পালন করছে। ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২০-২১ জানুয়ারি সকাল ৯ টা থেকে ১১টা ২ ঘন্টা, ২২-২৩ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা ৩ ঘন্টা, ২৭-২৮ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা ৪ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
বাবিককাকস, সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মর্তুজ আলীর সভাপতিত্বে ও দিলীপ কুমার রায় এর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুযোগ চন্দ্র চন্দ, সুখেন্দু শেখর শর্মা, প্রফুল্ল কুমার নাথ, শীলা রাণী সূত্রধর, সাব্বির আহমদ, অরুন দাস, প্রবীর কুমার দাস, শহীদুল ইসলাম, আজারুল ইসলাম, দীপক সিংহ, আবুল বাশার, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কামরুল হোসেন, ইউসুফ আলম, ইউনুছ আলী, অনন্ত বিজয় রায় প্রমুখ।
কর্মবিরতি পালনকালে বক্তারা বলেন যে, মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মচারীকে পদোন্নতি ছাড়াই একই পদে দীর্ঘকাল চাকুরি করে অবসরে যেতে হচ্ছে। সরকারি চাকুরিতে পদোন্নতি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু মাঠ প্রশাসনে এর ব্যতিক্রম চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। সচিবালয়সহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীরা যথাসময়ে পদোন্নতিসহ বেতন গ্রেডের সুবিধা ভোগ করলেও একই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে অভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা বঞ্চিত। মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে রূপকল্প ২০২১সহ এসডিজি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তরসমূহে যখন ডিজিটালের ছোঁয়া লাগেনি তখন মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সাহসিকতার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করেছিল বলে আজ রূপকল্প ২০২১ স্বপ্ন নয় সত্যি বলে পরিণত হয়েছে।
বক্তরা আরো বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ‘মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের পদবি ও গ্রেড পরিবর্তনের দাবীকে যৌক্তিক মর্মে স্বীকার করে বলেছেন-খুব শীঘ্রই তাদের পদবি পরিবর্তন করা হবে’। বক্তারা অচিরেই প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের বাস্তব প্রতিফলন চান এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীরা এ বৈষম্যের অবসান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ কৃপাদৃষ্টি আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি