প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আরো ৪৬টি সেমিপাকা ঘর পেল গোয়াইনঘাট

41

কে.এম.লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির প্রচেষ্টায় পুনরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে ৪৬টি ঘর পেয়েছেন গোয়াইনঘাটবাসী। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ‘যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গোয়াইনঘাটবাসী ৩৩০টি ঘর পেয়েছিলেন। এবার নতুন করে আরো ৪৬টি ঘর বরাদ্দ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। জানা যায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৪৬ টি হতদরিদ্র পরিবারের ২ শতাধিক মানুষ জন এর উপকার ভোগী হবেন। বরাদ্দকৃত ৪৬টি অসহায় পরিবারের ঘর গুলো নির্মাণে সরকারের ব্যায় হবে অর্ধকোটি টাকা। এ প্রকল্পে হতদরিদ্র অসহায় পরিবার যার ১ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণে একটি ঘরের জন্য ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্বপ্নহারা মানুষের নতুন ঠিকানা মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে ১টি ঘর ১টি টয়লেট হতদরিদ্র মানুষের কাছে সোনার হরিণ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ওয়ার্ড সদস্য, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য, চেয়ারম্যানগন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জরিপ করে তুলনামূলক হতদরিদ্র পরিবার গুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন থেকে ৪৬টি পরিবারের গৃহ নির্মাণের তালিকা তৈরি করবেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে সেমি পাকা বসতঘরে বসবাস করার স্বপ্নে বিভোর গোয়াইনঘাট উপজেলার অসহায় পরিবারগুলো। অসহায় পরিবার গুলোর গৃহ নির্মাণ করা হলে সহায়-সম্বলহীন পরিবারগুলো নতুন করে স্বপ্ন দেখেছেন সংসার করার। ঘর নির্মাণে অনিয়ম ঠেকাতে আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুস সাকিব সার্বক্ষণিক তদারকি করার ব্যাপারে প্রস্তুত রয়েছেন।
প্রকল্পের মেয়াদকালের দিকে লক্ষ্য রেখে যথা সময়ে ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য ইউএনও নাজমুস সাকিব যথাযথ পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন। নবনির্মিত ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ঘরগুলোতে স্ব-স্ব ওই অসহায় পরিবারগুলো উঠতে শুরু করবে। এবারে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিটি ঘরের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৫ ফুট, প্রস্থ সাড়ে ১৬ ফুট নির্মাণ করা হবে এসব ঘরের মেঝে পাকা, সামনে খোলা বারান্দা আরসিসি পিলার, ইটের বেড়া। এর সঙ্গে একটু দূরে পয়ঃনিস্কাশনের স্যানিটারি ল্যাট্রিন থাকবে। ইতিমধ্যেই সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ৩০লাখ টাকা ব্যয়ে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে ৩৩০টি নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত ঘর গুলোতে বসবাস শুরু করেছেন তারা।
এদিকে, তোয়াকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী বিবি হাজেরা জানান, কখনো ভাবিনি সরকার আমাদের ঘর বানাইয়া দেবে। এ ঘরটা হওয়াতে খুব উপকার হইছে, থাকা নিয়ে আর চিন্তা করা লাগবে না।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শীর্ষেন্দু বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় উপকরণের (সিমেন্ট, ইট-বালু, রড, কাঠ, টিন) গুণগত শতভাগ মান বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির প্রচেষ্টায় গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নতুন আরো ৪৬টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। সমাপ্তি হওয়া ঘর গুলোর মতো স্বচ্ছতার নিরিখে বরাদ্দকৃত নতুন ঘর গুলোর কাজ সম্পন্ন করা হবে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিব বলেন, ইতিমধ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৩০টি ঘর নির্মিত হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় ও উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সার্বিক তদারকিতে সুষ্ঠুভাবে যারা ঘর পাওয়ার উপযুক্ত তাদেরই গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার গরিব-অসহায় মানুষের কল্যাণ, উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের কথা চিন্তা করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আবারও ৪৬ টি ঘর পেয়েছে গোয়াইনঘাটবাসী। ইউএনও নাজমুস সাকিব আরো বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের প্রচেষ্টার ফলেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দকৃত নতুন ৪৬ টি ঘর শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে প্রকৃত হতদরিদ্র পরিবার নির্বাচন করে গৃহ নির্মাণ করা হবে।