ভালো আছেন ওবায়দুল কাদের, সিঙ্গাপুরে আর যেতে চান না

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই ভালোর দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দুই কাপ স্যুপও খেয়েছেন। এখন তার প্রেসার প্রায় স্বাভাবিক – ১৩০/৮০।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ তথ্য জানান।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন ওবায়দুল কাদের। পরে সেখান থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন।
ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান জানান, স্যুপ খাওয়ার পর খানিকটা সুস্থ্যবোধ করছেন ওবায়দুল কাদের। বাসায় ফিরে যেতে উদগ্রীব হয়ে আছেন। বাসায় গিয়ে বিশ্রামে থাকলে সমস্যা হবে কি না তা বারবার জানতে চেয়েছেন।
এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য ফের সিঙ্গাপুরে যাবেন কি না সে প্রশ্নও করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে।
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন আগেই সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছি, এখনই আর সিঙ্গাপুরে যেতে চাই না।’
এদিকে তাকে দেখতে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে আসছেন শুনে অনেকটা চাঙা অনুভব বরেন ওবায়দুল কাদের।
চিকিৎসক ডা. মোস্তফা জামানকে তিনি বলেন, ‘আপা, খোঁজ-খবর নিয়েছেন তাতেই আমি কৃতজ্ঞ। আর আমি তো এখন ভালো আছি। আপার কষ্ট করে আসার দরকার নেই।’
দলের সাধারণ সম্পাদক সুস্থ আছেন বার্তা পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিএসএমএমইউ’র আসার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে বলে জানান ডা. মোস্তফা জামান।
এদিকে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বিএসএমএমইউতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমিয়েছে। যে কারণে তাকে আগামীকাল রবিবার রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছিলেন বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান।
তিনি বলেছিলেন, ‘উনার শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। একটু প্রেশার বেড়ে গিয়েছিল। তবে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। আমরা মোটামুটি ট্যাকেল করেছি। উনি এখন শান্ত আছেন। ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে। উনি এখন রেস্টে আছেন। উনার রেস্ট প্রয়োজন।’
উন্নত চিকিৎসার জন্য ওবায়দুল কাদেরকে দেশের বাইরে পাঠানো হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘এটি সময়ের ব্যাপার।’
আলী আহসান আরও জানিয়েছিলেন, ‘উনি তো ভালোই ছিলেন। কর্মজীবনে একটু স্ট্রেস (চাপ) হয়। সামনে ইলেকশন আছে। এই স্ট্রেসে হয়তো…। আবার উনার একটু ঠাণ্ডা আছে। এখন তো ঘরে ঘরে ঠাণ্ডা জ্বর-সর্দি হচ্ছে। তবে উনি আশঙ্কামুক্ত।’