হাওরের দু’পাশে ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবে আমাদের সন্তানেরা – পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান

13
সুনামগঞ্জের জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও সতীশ চন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দুটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সমসময় একটা কথাই বলেন, সব কাজের কেন্দ্রে সাধারণ মানুষ থাকবে। উচ্চ পর্যায়ের মানুষদের আমরা সম্মান করি, কিন্তু কাজ করি দরিদ্র মানুষের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য। যখন কোনও প্রকল্প নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই, তিনি জানতে চান এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষের কোনও কল্যাণ হবে কিনা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কারা লাভবান হবে জানতে চান। নারী, বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের লাভ হবে কিনা জানতে চান। যারা খেটে খায়, পরিশ্রম করে, কৃষক-মজুর-জেলে তাদের লাভ হবে কিনা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের লাভ হলে প্রকল্পের অনুমোদন করেন। এটা হলো শেখ হাসিনার বার্তা। দেশের ৮৫ ভাগ লোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করেন। এটা বিদেশিরা জরিপ করে দেখেছে।’
তিনি আরো বলেন হাওরের মধ্যভাগ দিয়ে ভাসমান সেতুর ওপর দিয়ে আমরা সারা বছর গাড়ি চালিয়ে যাবো। হাওরের দু’পাশে ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবে আমাদের সন্তানরা। আমরা নকশা তৈরির কাজ করছি। আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে অবশ্যই ছাতক থেকে রেল সুনামগঞ্জে আসবে। আমরা মোহনগঞ্জে রেল নিয়ে যাবো। খাবারদাবার-পিঠাপুলি নিয়ে ট্রেনে উঠবেন, ঘুরে ঢাকা চলে যাবেন। দেশ গঠনের সময় এখন, আমাদের এই দেশটাকে নুতন রূপে সাজানোর সময়। অনেক কাজ আমাদের বাকি রয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে এ সরকার।’
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক ঝলক রঞ্জন তালুকদারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ফয়জুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জের সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ আশুতোষ দাস,জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। পরে মন্ত্রী সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন