জনশক্তি রফতানিতে উদ্যোগ নিন

7

সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারের আইসিসি হলে (এডিএনইসি) ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক ২০২০’ এবং ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কম্পানি সৌদি আরামকোর পরিচালক ও এসিডাব্লিউএ পাওয়ারের চেয়ারম্যান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে ‘দ্য ক্রিটিক্যাল রোল অব উইমেন ইন ডেলিভারিং ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বিষয়ে সাক্ষাৎকার অধিবেশনে যোগ দেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। সন্ধ্যায় মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের প্রতি মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার, দেশীয় পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি এবং তাঁদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্যও প্রণিধানযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও রপ্তানি কিভাবে বাড়ানো যায়, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা কেমন, সেসব বিষয়ে কাজ করতে হবে রাষ্ট্রদূতদের। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টি করতে হবে। কাজ করার সময় বিশ্বটাকে এখন বৈশ্বিক পল্লী হিসেবে বিবেচনা করে সহযোগিতা বাড়ানোর মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক জনশক্তি কাজ করছে। অথচ বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রায়ই প্রতারণার শিকার হয়। তাদের প্রত্যেকেরই নিরাপত্তার জন্য সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মধ্যপ্রাচ্য থেকে সর্বাধিক রেমিট্যান্স প্রেরণের কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা সংরক্ষণেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যাপকভাবে অবদান রেখে যাচ্ছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে।
বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনার জায়গাগুলো খুঁজে বের করে জনশক্তি রপ্তানিতে নতুন উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা আশা করব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে কাজ করবে বিদেশের সব মিশন। দেশের বাইরে উজ্জ্বল হবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি।