শীতে রোগ-বালাই থেকে সুস্থ থাকতে সচেতনতা প্রয়োজন

119

জেড.এম.শামসুল :
‘‘পরিবেশ বাঁচান-নিজে বাঁচার প্রচেষ্টা চালান” আমাদের দেশ ছয়টি ঋতুর দেশ হিসাবে খ্যাত হলেও বিশেষ করে গ্রীষ্ম -শীত দু’টো ঋতুর আগমন দেশবাসীকে জানিয়ে দেয় আগমনের বার্তা। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরম আর শীত ঋতুর পয়গামে দেশময় শীর্তাত মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলে, দেখা দেয় নানা ধরনের রোগের প্রার্দুভাব দেশের সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন করে তুলে। ফলে এ দু’টো ঋতুর আগমনের মুহূর্তে গ্রীষ্ম-শীতের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার রোগ-বালাই সম্পর্কে জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারী-বেসরকারী, মানবতাবাদী সংস্থা গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল পাহাড়ে এবং দক্ষিণাঞ্চল সাগরে বেষ্টিত। তাই মানুষ সৃষ্টি পাহাড়, গাছ-গাছড়া ধ্বংস ভূমির সঠিক ব্যবহারের অভাবে, এ চেয়ে শহর-বন্দরে অপরিকল্পিত ভাবে দালান কোটা তৈরি, রাস্থা-ঘাটে থুঁড়া-থুঁড়ি, ইট-বালুর ছড়াছড়ি, যাবাহনের কালো-সাদা ধোঁয়া, যেখানে-সেখানে পরিকল্পনাহীন ভাবে মিল-কারখানা স্থাপন, ময়লা-আর্বজনার দুর্গন্ধে প্রতিনিয়ত পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণসহ বায়ু দূষণের কারনে সারা দেশে গ্রীষ্মের গরম-শীতের প্রাদুর্ভাব মৌসুমী আবহাওয়া বিপর্যস্ত। প্রতি-বছর এ দু’টো মৌসুম এলেই দেশের নিম্ন-স্তরের মানুষের কষ্টের শেষ থাকে না। গরীব-অসহায় নিঃস্ব, ভব-ঘুরে জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ দু’টো মৌসুমী আতংক হিসাবে আগমন ঘটে। এ দু’টো মৌসুমে রোগ-বালাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়। গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষসহ শহর-নগরের বস্তি সমূহের সাধারণ নিম্ন- আয়ের মানুষ জনের জীবনে নেমে আসে চরম হতাশা আর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। আর্থিক অভাব-অনটনের কারনে সু-চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়তে হয়। এ দু’মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকে না, আবার মৃত্যু’র সংখ্যা কম নয়।
আমাদের দেশে গরম ও শীত মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ গুলোর মধ্যে ডায়রিয়া, গরম জনিত রোগ ছাড়া ও শীত-জনিত রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব বেশী, ঠান্ডাজনিত নানা ধরনের রোগ-বালাই’র মধ্যে- পেট-ব্যথা, শিশু-বৃদ্ধ লোকদের শ্বাস-কষ্ট, জ্বর, কাশি, অ্যালার্জি, নিউমোনিয়া, টনসিল, জনিত নানা-ধরনের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এ সব শীত জনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে শিশু-বৃদ্ধ লোকদেরকে যথাযত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ জন্য অভিভাবকরা সবচেয়ে বেশী সচেতন হতে হবে। তার সাথে-সাথে সরকার ও বেসরকারী সংস্থা সমূহের স্ব-উদ্যোগে বিপর্যয় গঠার পূর্বেই দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য উদ্যোগ নেওয়াই অতি-উত্তম।
দেশের অতি দুর্যোগময় ঋতু দু’টো‘র সময়ে দেশের জন-মানুষের কল্যাণের জন্য, সামাজিক পরিবেশ সু-রক্ষায় সকল প্রকার দূষণরোধ বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে সকল প্রকার পরিবেশ-সংক্রান্ত অনিয়ম, পরিবেশ রক্ষায় দূষণকারীদেরকে রুখতে সঠিক ভাবে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। তাই দেশের পরিবেশ সু-রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
‘‘ পরিবেশ বাঁচান-নিজে বাঁচার প্রচেষ্টা চালান, ইহাই হউক পরিবেশ বাঁচানোর মূল লক্ষ্যে”।