কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সড়কে স্প্রীড ব্রেকার না দেয়ায় কাজে বাধা : ২ ঘন্টা রাস্তা বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজট

16

পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর ভায়া শ্রীমঙ্গল সড়কের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্প্রীডব্রেকার (গতিরোধক) না দেয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক পুনসংস্কার কাজ বন্ধ করে গাড়ী চাবি নিয়ে যায় বন বিভাগের লোকজন। কাজ বন্ধ করে রাস্তায় রোলার ফেলে রাখার কারনে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে প্রায় ২ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে চাবি প্রেরত দেয়ার পর গাড়ী সরালে সড়ক যোগাযোগ চালু হয়। ঘটনাটি ৯ জানুয়ারী সকাল ১০টায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় ঘটে।
লাউয়াছড়া বন্যপ্রানী সংরক্ষণ এর সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আনিছুর রহমান জানান, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়কটির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীদের অবাদে চলাচল করার অভায়াশ্রম। বিশেষ করে রাতে এই সড়কে বিভিন্ন সময় যাতায়াতকারী দ্রুতগামী গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ায়, বন্যপ্রাণী চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলোতে স্প্রীডব্রেকার (গতিরোধক) বাধ দেয়া হয়েছিলো যাতে করে দ্রুতগামীর গাড়িগুলো জাতীয় উদ্যানের ভেতরে ধীরগতিতে চলাচল করে। কিন্তু সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক পুনসংস্কার কাজ হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ মোড় গুলো থেকে স্প্রীডব্রেকার (গতিরোধক) বাধ অপসারণ করা হয়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে বিভিন্ন প্রজাতির নিরীহ বন্যপ্রাণীরা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সড়কবিভাগের সাবরেজিস্টেশন ইঞ্জিনিয়ার কে অনুরোধ করলে ও তিনি তা কর্ণপাত করেননি। তাই বনকর্মিরা রোলারের চাবি নিয়ে গেলে আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চাবি ফিরিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবর চিঠি প্রেরণ করছি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবরেজিস্টেশন ইঞ্জিনিয়ার বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোতে স্প্রীডব্রেকার (গতিরোধক) বাধ দেয়ার অনুমতি না থাকায় আমরা দিতে অসম্মতি জানালে, বন্যপ্রানী সংরক্ষণের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আনিছুর রহমান এর নেতৃত্বে বনকর্মিরা আমাদের কাজে বাধা দিয়ে রোলারের চাবি নিয়ে যায়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেন, বনবিভাগ সরকারী কাজে বাধা দিয়ে কাজটি ভালো করেনি। যেহেতু ২টিই সরকারী প্রতিষ্ঠান এখানে বিরোধ সৃষ্টি করা সঠিক নয়। আমাদেরকে চিঠি দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।