ওয়াজে উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে ব্যবস্থা, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক

36

কাজিরবাজার ডেস্ক :
কোনো জলসায় (ওয়াজ-মাহফিলে) উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া হলে সেই বক্তার পাশাপাশি আয়োজকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জিন্নাতুল বাকিয়া, তাহমিনা বেগম ও রত্না আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শীতের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী জলসা শুরু হয়েছে। এ ধরনের ইসলামী জলসা থেকে ধর্মীয় উসকানি দেয়া হচ্ছে। এমনকি সরকারবিরোধী প্রচারণাও চলছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে ধর্মীয় উসকানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে আলোচনা শেষে সারা দেশে ইসলামী জলসার নামে ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচারণা বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এর আগে কমিটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে উসকানিমূলক ঘটনা তুলে ধরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই পরিস্থিতি উত্তরণে ওয়াজ মাহফিলসহ ধর্মীয় জলসা আয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক করা এবং রাত ১১টার পর কোনো অনুষ্ঠান না রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, হজ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য হজ ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হয়েছে। সৌদি আরব ও বাংলাদেশ সরকারের দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ করার সুযোগ পাবেন।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন। এ বছর শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন মক্কা রুটের মাধ্যমে ঢাকায় সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
কমিটির বৈঠকে আলোচনা শেষে হজযাত্রীদের আরও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হজ মেডিকেল টিমে সহায়ক হিসেবে মেডিকেল ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটধারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও সংসদীয় কমিটি প্রতিটি সংসদীয় আসনে মসজিদের মেরামত ও সংস্কার করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে বার্ষিক ১০ লাখ টাকা, মাদ্রাসার জন্য ৫ লাখ টাকা এবং মন্দিরের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য স্থায়ী জমি বরাদ্দের কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়া হয়।