প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ॥ জগন্নাথপুরে “গণেশ বড় না গোপাল বড়” নিয়ে চলছে তোলপাড়

16

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ পাওয়া নিয়ে চলছে তুলকালাম কান্ড। এ পদটি পেতে ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা ও ক্ষমতার লড়াই। দফায় দফায় পরিবর্তন হচ্ছে যোগদান। পদটি পেতে সবাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। এতে কর্তৃপক্ষ পড়েছেন বিপাকে। তাঁদের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যেন আলাদিনের চেরাগ হয়ে গেছে। তাই আলাদিনের চেরাগ পেতে ৫ জন শিক্ষক চারদিকে করছেন দৌড়ঝাঁপ। তাঁদের মধ্যে দৌড়ে ও ক্ষমতায় এগিয়ে রয়েছেন শিক্ষক গণেশ ও শিক্ষক গোপাল। তাঁদের মধ্যে গণেশ বড় না গোপাল বড় এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। তাঁদের সাথে রয়েছেন অসংখ্য ভক্তবৃন্দ। এসব শিক্ষকদের থেকে তাদের ভক্তরা বেশি কান্নাকাটি করছেন। এ নিয়ে যে কোন সময় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি মহলের চাপের মুখে জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সফল প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বদলি হয়ে গেলে এ পদটি শূন্য হয়। এর পর থেকে এ পদে যোগদান করতে মরিয়া হয়ে উঠেন দক্ষিণ হবিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র দাস, শাহারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম, বুধরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চদা) আজিজুর রহমান, কবিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চদা) শংকর চন্দ্র দাস ও রতিয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চদা) গণেশ চক্রবর্তী। এর মধ্যে নীতিমালা অনুযায়ী সরাসরি প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র দাস ও ফরিদুল ইসলামের মধ্যে প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে গোপাল চন্দ্র দাস ও গণেশ চক্রবর্তীর মধ্যে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গোপাল চন্দ্র দাসকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমি প্রস্তাব করেছি। এ প্রস্তাবের আলোকে গত ১০ ডিসেম্বর সিলেট শিক্ষা উপ-পরিচালকের আদেশের প্রেক্ষিতে ১১ ডিসেম্বর গোপাল চন্দ্র দাসকে যোগদানের নির্দেশ দেয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে একই দিনে ঢাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আরেকটি আদেশ আসে গণেশ চক্রবর্তীকে যোগদান করার জন্য। এমতাবস্থায় আমরা বেকায়দায় পড়ে কাউকে যোগদান করতে দেইনি। রয়েছি সিদ্ধান্তহীনতায়। সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর রবিবার গোপাল চন্দ্র দাসের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা প্রশাসন ট্রাইব্যুনাল-১ এর এক আদেশে জগন্নাথপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে।