বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারি সমিতির সাংবাদিক সম্মেলন ॥ দাবী মানা না হলে কঠোর কর্মসূচী

44

বাংলাদেশের তুণমূলের স্বাস্থ্য সেবক ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মূল কারিগর এফপিআিই ও এফডাব্লিউএ তাদের গ্রেড পরিবর্তন, নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন ও প্রমোশনসহ ৫ দফা দাবিতে আগামি ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে এফপিআই এফডাব্লিউএদের সংগঠন বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারি সমিতি। গতকাল ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ১১টায় রিপোর্টার্স ইউনিটে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ ঘোষণা কেন্দ্রীয় দাবী বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব জাকিরুন্নেছা সুমি। নেতৃবৃন্দ ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করবেন বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাকিরুন্নেছা সুমি বলেন, সাফল্যজনক জাতীয় টিকাদান কর্মসূচীতে প্রধানমন্ত্রী ‘ভ্যাকসিন হিরো, পুরস্কারে ভুষিত ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে মা ও শিশুর মৃত্যুরোধে সাউথ, সাউথ পুরস্কার পাওয়ায় তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি ১৪তম গ্রেড, স্বাস্থ্য সহকারিগণ ১৬তম গ্রেড, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১৪তম গ্রেড, ইউনিয়ন পর্যায়ের ব্লক সুপার ভাইজারগণ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। ১৯৭৭-৮৫ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক ও এফডাব্লিএ ৪০০ টাকা বেতন স্কেলে এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও এফপিআইগণ ৪৩০ টাকা বেতন স্কেলে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি হিসেবে একত্রে ছিলেন। ২০১৫ সালে সহকারি শিক্ষক ১৪তম গ্রেড, প্রধান শিক্ষক ১১তম গ্রেডে অবস্থান করছেন। কিন্তু এফডাব্লিউদের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি ১৬তম গ্রেড থেকে প্রমোশন না দিয়ে ১৭তম গ্রেডে (৪র্থ শ্রেণী) এবং এফপিআইগণ ১৬তম গ্রেডে রয়েছেন। এমন বৈষম্য নজির বিহীন। এ কারনে কর্মচারিদের মধ্যে হতাশা ক্ষোভ বিরাজ করছে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৩৪ শতাংশ, ২০০৯ সালে ১.৩৯ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১.৩৯ শতাংশ এবং ২০২০ মোট প্রজনন হার ২.০ অর্জনের কথা থাকলে বর্তমানে রয়েছে ২.৩জন। এই সাফল্যের মূল দাবিদার এফডাব্লিএ গণ।
কর্মচারিদের অভিযোগ তাদের কাজের সাফল্যের কারণে অনেক বড় বড় কর্মকর্তারা বিদেশ সফর করছেন। কিন্তু এফপিআই, এফডাব্লিউদের ন্যায্য দাবি গুলো সরকারের উপর মহলে অবহিত করা হয়না। তাই তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের দাবি জানান। তাদের উল্লেখ যোগ্য দাবি হচ্ছে, ১৭তম গ্রেডের পরিপত্র বাতিল করে এফডাব্লিউএদের ১২তম এফপিআইদের ১১তম গ্রেড নিয়োগবিধি দ্রুত আস্তাবায়ন করে প্রমোশন, এফডাব্লিউএদের শূন্য পদে নিয়োগবিধি বন্ধ, সিলেকশন গ্রেড প্রদান পেনশনের সময় ২০% কর্তনের টাকা বাতিলের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দাবি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মো: ফিরোজ আলী, আহবায়ক কমিটির আহবায়ক নাজনীন আক্তার, সদস্য সচিব আমির আলী মড়ল, যুগ্ম আহবায়ক শিরিয়া বেগম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাশেদা খানম রিনা, আব্দুল বারি, দেলোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, কামাল আহমদ, রবিন আহমদ, কনা প্রবা দে, ইসরাত জাহান, রাশেদুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।