নগরীতে সড়ক আইনে অভিযান শুরু, ৪০টি মামলা দায়ের

8
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সিলেট নগরীতে যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযানের একাংশ।

স্টাফ রিপোর্টার :
বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুসারে অ্যাকশন শুরু করেছে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক শাখা। গতকাল সোমবার থেকে এ নতুন আইনে মামলা দায়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই ৪০টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৩টি মোটরসাইকেল ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ লাইন্সে প্রেরণ করা হয়েছে। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা এই তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, নতুন সড়ক পরিবহন আইন নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে কার্যকর শুরু হয়। তবে এ আইনের বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করতে ও আইনের বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে তখন আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়নি। প্রচারণার পর আজ থেকে শুরু হয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নতুন সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের কার্যক্রম শুরু করতে গতকাল সকাল থেকে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান নেন পুলিশের ট্রাফিক শাখার কর্মকর্তারা। এ সময় মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ, পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার) নিকুলিন চাকমা, সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবুল খায়ের, টিআই (প্রশাসন) মুহিবুর রহমান, টিআই (প্রসিকিউশন) রাশেদ মামুন চৌধুরী, টিআই হানিফ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, ট্রাফিক পুলিশ নতুন সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের কার্যক্রম শুরুর সাথে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টাও করছে। এ লক্ষ্যে মাইকিংয়ের মাধ্যমে অসচেতনভাবে রাস্তা পারাপার না হওয়া, মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় রাস্তা পারাপার না হওয়া, ফুটপাত ব্যবহার করা, রাস্তার ডান পাশ দিয়ে চলা, রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করা, সময় বাঁচাতে গিয়ে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে গাড়িতে না ওঠা, মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত একজনের বেশী আরোহী বহন না করা, চালক ও আরোহী উভয়েই সঠিকভাবে হেলমেট ব্যবহার করা, বৈধ কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরসাইকেল না চালানো, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল না চালানো, উচ্চ শব্দকারী সাইলেন্সার ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ না করা, মোটরসাইকেলের লুকিং গ্লাস না খোলা এবং উল্টোপথে গাড়ি না চালানোর বিষয়ে সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।