শাহী ঈদগাহে ‘সিনেমার শুটিং’ ॥ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা

20

নগরীর শাহী ইদগাহে গত ২৮ নভেম্বর ‘ইত্তেফাক’ নামক সিনেমার একটি ছোট্ট দৃশ্যের শুটিং হওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্মিতা প্রতিষ্ঠান কানন ফিল্মস-এর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে সমালোচনা এবং এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ধর্মপ্রাণ সিলেটবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুটিংয়ের বিষয় নিয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক রায়হান রাফি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহী ইদগাহে যে দৃশ্য ধারণ করা হয়, সেটি ছিল নামাজের। ঈদগাহ ইসলাম ধর্মের একটি পুণ্যময় স্থান। একজন তরুণ অন্ধকার থেকে আলোর পথে, ইসলাম ধর্মের পথে ফিরে আসাকে তুলে ধরতেই মূলত পুণ্যময় এই স্থানকে বেচে নেয়া হয়। এখানে দুরাকাত নামাজের একটি দৃশ্য ধারণ করা হয়। এভাবে একজন মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে আসায় পূর্ণাঙ্গতা ও ধর্মীয় মাধুর্যতা দেখানো হয়েছে। কোনভাবেই সেখানে নাচ-গান বা সিনেমার অন্য কোন দৃশ্য ধারণ করা হয়নি। এর প্রশ্নই আসে না। আমরাও মুসলিম এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান। ইদগাহের মত একটি পুণ্যময় ইবাদতখানার মর্যাদা রক্ষায় আমরা আন্তরিক। সেখানে এমন কিছু হোক যাতে ঈদগাহের পবিত্রতা নষ্ট হয়, তা আমরা করার স্পর্ধা দেখাবো না।
কিন্তু এই ঘটনাকে প্রচার করা হয়েছে অন্যভাবে। কোনও কোনও পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়েছে, শুটিংয়ের সময় সেখানে নাচ-গানের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। যা প্রকৃত ঘটনার সম্পূর্ণ বিপরীত। এ রকম প্রচারণার কারণে সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মনে আঘাত লেগেছে। তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরাও মনে করি, যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে ঈদগাহকে ব্যবহার করা হলে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে আঘাত লাগারই কথা। তারা ক্ষুব্ধই হবেন। কিন্তু আসল ঘটনা তা নয় বলে আমরা মর্মাহত হয়েছি। নামাজের দৃশ্য মসজিদ বা ঈদগাহে হলে সেটিই প্রকৃত মর্ম উপস্থাপন করবে- এমনটি মনে করেই মূলত ইদগাহে শুধু ৩ মিনিটের নামাজের একটি দৃশ্য ধারণ করা হয়। এমন কি আমরা ঈদগাহের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে জুতা খুলেও প্রবেশ করেছি।
তবুও নামাজের দৃশ্য ধারণের শুটিংয়ের জন্য ইদগাহ ব্যবহার করায় শাহজালাল-শাহপরাণ (রহ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ আমাদের উপর ক্ষুব্ধ হলে বা ধর্মীয়ভাবে আঘাত পেলে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত, মর্মাহত এবং ক্ষমা প্রার্থী। আমরা মনে করি, এ রকম একটি ধর্মীয় স্থাপনার পবিত্রতা রক্ষায় সব সময় সবার সচেষ্ট থাকা উচিৎ। আমাদের কারণে পুণ্যভূমি সিলেটে কোন রকম বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক তা আমাদের কাম্য নয়। এ নিয়ে যাতে সেরকম কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় এ জন্য সবার সদয় ও সুদৃষ্টি কামনা করছি। বিজ্ঞপ্তি