সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকদের মানববন্ধনে বক্তারা ॥ শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে কোন কাজ করতে দেয়া হবে না

13
নগরীর কোর্ট পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিকদের মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন সিলেটের পরিবহন শ্রমিকরা। রবিবার বেলা ১২টার নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ৭০৭ এর উদ্যোগে সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র কর্তৃক সিলেট নগরীর সিএনজি অটোরিক্সা পার্কিংয়ের স্থানগুলো উচ্ছেদ করে সিটি বাস সার্ভিসের কাউন্টার নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজপথে নামেন পরিবহন শ্রমিকরা।
এ সময় সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ৭০৭ এর সভাপতি মো. জাকারিয়া বলেন, মেয়র আরিফ সিলেটের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছেন। পরিবারের লোকজনদের দিয়ে গঠন করা সিটি বাস সার্ভিস পরিচালনার জন্য তিনি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাগুলোর পার্কিয়ের স্থানে কাউন্টার নির্মাণ করতে চাইছেন। যা কখনোই শ্রমিকরা মেনে নেবে না। বাস চালান আর ট্রেন চালান, শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে কোন কাজ করতে দেয়া হবে না।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার যেখানে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে, সেখানে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। তিনি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাগুলোর পার্কিয়ের স্থানগুলো উচ্ছেদ করে হাজার হাজার শ্রমিককে পথে বসিয়ে নিজে লাভবান হতে চাইছেন। এ সময় শ্রমিক নেতারা বলেন, একাধিকবার তারা এসব বিষয় নিয়ে মেয়রের সাথে বৈঠক করেছেন। কিন্তু বৈঠক শেষ করেই মেয়র সিদ্ধান্তগুলো ভুলে যান এবং নিজের ইচ্ছামত কাজ শুরু করেন। তাই এখন আর পরিবহন শ্রমিকরা তার সাথে কোন বৈঠকে বসবে না। প্রশাসনের উপস্থিতিতে কোন বৈঠক হলে সে বৈঠকে যাবেন তারা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনে নামারও হুশিয়ারি দেন শ্রমিকরা। এ সময় উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ৭০৭ এর সহ-সভাপতি সুন্দর আলী খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহবউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল আহমদ, অর্থ সম্পাদক মামনুর রশিদ মামুন, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। সদস্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সুজন মিয়া, এম. বরকত আলী, লিটন আহমদ, মো. খালিক মিয়া, মো. মুুজিবুর রহমান এপল, এমাদ উদ্দিন, টিলাগড় উপ-পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলেক খান, সম্পাদক এম.এ করিম, সহ-সম্পাদক আব্দুল রহিম ঝাড়–, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা উপ-পরিষদের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, সম্পাদক শিবলী আহমদ, সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছালেহ আহমদ, সদস্য মো. ছমির আলী, মো. কালা মিয়া, আলী হোসেন, আল-আমিন, আলমগীর, আবু তাহের, হুমায়ুন রশিদ চত্তর উপ-পরিষদের সভাপতি মানিক মিয়া, সম্পাদক মিলন আহমদ, উপশহর উপ-পরিষদের সাবেক সভাপতি আবু নাসির ব্যাপারী, সম্পাদক অনুর চৌধুরী, ঈদগাহ উপ-পরিষদের সহ-সভাপতি শাহ আলম, সদস্য তিতাশ খান, ওয়হিদ মিয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি