রবীন্দ্রচর্চায় সবার মাঝে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হোক —অধ্যাপক বিজিত কুমার দে

33
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট আগমনের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে শতকণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বিজিত কুমার দে।

বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট আগমনের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘শতকন্ঠে রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রীহট্ট ললিতকলা কেন্দ্রের পরিচালক ও প্রশিক্ষক ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য ও তার দলের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বিজিত কুমার দে। এ সময় তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ সকল যুগের সকল মানুষের চেতনার বাতিঘর। রবীন্দ্রচর্চার মাধ্যমে সবার মাঝে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত হোক। সিলেটের প্রাকৃতিক রূপে মুগ্ধ হয়ে কবি গুরু সিলেটকে শ্রীভূমি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সিলেটের মণিপুরী নৃত্যে মুগ্ধ হয়ে রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে মণিপুরী নৃত্যকে সমৃদ্ধ করেন।
শিশু সংগঠক রবীন্দ্র ভট্টাচার্য্যরে সভাপতিত্বে ও ছড়াকার পরিতোষ বাবলু, কবি ধ্র“ব গৌতম এবং ছড়াকার রানা কুমার সিংহের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এডভোকেট তবারক হোসেইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, অধ্যাপক নৃপেন্দ্র লাল দাশ, রবীন্দ্র গবেষক আতাউর রহমান, কবি এ.কে. শেরাম, রবীন্দ্র গবেষক মিহির কান্তি চৌধুরী, কবি এনায়েত হাসান মানিক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডা. সুধাময় মজুমদার, গল্পকার জামান মাহবুব, নাট্যকার বাবুল আহমদ, কনোজ চক্রবর্তী বুলবুল, শাহাদাত বখত শাহেদ, অজিত রায় ভজন, পুলিন রায়, আহমেদ বকুল, নাজমিন আক্তার কণা, মাসুদা সিদ্দিকা রুহী, অমিত বর্ধন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠকগুলো হচ্ছে সুরমা খেলাঘর আসর, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, ছড়া পরিষদ, ছড়ালোক, ছড়াকেন্দ্র, মনোত্তর-মিনা ফাউন্ডেশন, সিলেট সাহিত্য পরিষদ, কবি সংসদ বাংলাদেশ, নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র, দৈনিক সোনারবাংলা ডটকম, সিলেট লেখিকা সংঘ, ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম, হাওরপারের ধামাইল, বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ, প্রারম্ভিকা প্রকাশ ও পারমিতা সিলেট। বিজ্ঞপ্তি