শাহী ঈদগাহে সিনেমার শুটিং করার ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনুন ——মহানগর ইমাম সমিতি

11

বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগরী শাখার নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেটের শাহী ঈদগাহে সিনেমার শুটিং করে ইসলাম ধর্মের প্রতি ধৃষ্টতা দেখালো একটি মহল। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি নিউজ দেখে থমকে যান ইমাম নেতৃবৃন্দ। সিলেটের শাহী ঈদগাহ একটি ঐতিহাসিক স্থান। যেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রতিবছর লক্ষাধিক মুসল্লি ঈদের নামাজ পড়তে আসেন। সরকারের এমপি মন্ত্রীগণও নামাজের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কল্যাণের কথা বলেন। বড়বড় জানাযার নামাজ শাহী ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। এ সকল ধর্মীয় কাজ সম্পাদিত হওয়া এই ঐতিহাসিক ও পবিত্র শাহী ঈদগাহে সিনেমার শুটিং হয়েছে তা বিশ্বাস করা কঠিন হলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহল পুলিশী প্রহরায় শুটিং করে ফেলেছে। এহেন গর্হিত কাজের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে কর্তৃপক্ষের প্রতি ইমাম নেতৃবৃন্দ আহবান জানান।
সিলেটের শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে যারা এ কাজ করেছে তারা দেশ ও ধর্মের দুশমন। সিলেটের জনপ্রতিনিধিগণ আজ সিলেট নগরীকে আধুনিক নগরী গড়তে ব্যতিব্যস্ত হয়ে আছেন। অথচ শাহী ঈদগাহের মত একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় ও পবিত্র স্থান আজ যুবক-যুবতিরা আড্ডাখানায় পরিণত করেছে। এসব বেহায়াপনা শাহী ঈদগাহ এলাকা তথা সিলেটের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। শাহী ঈদগাহর কর্তৃপক্ষ আজ কেন নীরব? এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে? ঈদগাহ কর্তৃপক্ষ কেবল ঈদের নামাজ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য হলে চলবে না। শাহী ঈদগাহের ইতিহাস ঐতিহ্য ও পবিত্রতা রক্ষা করা তাদের অন্যতম দায়িত্ব।
ইমাম নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এহেন গর্হিত কাজের সাথে জড়িতদের খোঁজে বের করতে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হলে সিলেটের তৌহিদী জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
বিবৃতি দাতারা হচ্ছেন-সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, সেক্রেটারী মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা ক্বারী শহিদ আহমদ, মাওলানা শাহ আশরাফ আলী মিয়াজানি, মাওলানা আহমদ হোসাইন, মাওলানা মাসুক আহমদ সালামী, মাওলানা এখলাছুর রহমান, মাওলানা নূর আহমদ কাশেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা হিফজুর রহমান, মুফতি আব্দুর রহমান শাহজাহান, মাওলানা আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি