বিশ্বনাথে গাড়ি পার্কিং নিয়ে হামলা পাল্টা হামলায় মেজরসহ আহত ১০

22
বিশ্বনাথে মেজরের হামলায় গুরুতর আহত বিভাস পাল।

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে গাড়ি পাকিং নিয়ে বিভাস পাল (৪২) নামের এক ব্যবসায়ী ও সৈয়দ এনামুল হাসান কামাল (৪২) নামে সেনাবাহিনীর এক মেজরের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই মেজর ও ব্যবসায়ীসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৮টারদিকে বিশ্বনাথ নতুন বাজারের বিভাস পালের রাখী ট্রেডার্স নামক দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় বিভাস পালকে রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিলেট ওসমানী মেডকেল কলেজ সহাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বিভাস বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তি জানাইয়া গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন পালের ছেলে। আর আহত মেজর এনামুল হাসানও জানাইয়া গ্রামের পার্শ্ববর্তি শ্রধীরপুর গ্রামের সৈয়দ আরিফ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি (মেজর) সিলেট নগরীর রায়নগরের বাসিন্দা।
বিভাস পালের পক্ষে অন্য আহতরা হলেন, তার ম্যানেজার দিপুল দেব (৫৫), পাশের দোকানের ব্যবসায়ী রামধানা গ্রামের মাসুক মিয়া (৪৫), পথচারী আব্দুল আলীম (৩৫) আর মেজর এনাম পক্ষে বাকি আহতরা হলেন, তার বোন সৈয়দ আমিনা আক্তার রুনা (৩০), বোনজামাই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: শাহ্ জহিরুল ইসলাম (৩৮), ছোটভাই সৈয়দ ইব্রাহিম হাসান নাঈম (২৭) ও ভাগনা শাহ আমিনুল ইসলাম (৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্বনাথ বাজারের ভবঘুরে ইউছুফ পাগলার সঙ্গে স্বপরিবারে দোয়া নিতে যান মেজর এনাম। বেশ কিছু সময় খোঁজাখোজির পর জানতে পারেন ইউছুফ পাগলা বিশ্বনাথ নতুন বাজারে আছেন। রাত ৮টারদিকে বিশ্বনাথ নতুন বাজারের গিয়ে রাখী ট্রেডার্সের সামনে তাদের ব্যবহৃত কার (ঢাকা মেট্রো গ-২৯-৮৯৯১) গাড়িটি পার্কিং করেন। এ সময় দোকান মালিক বিভাস পালের ম্যানেজার দিপুল দাস তাদেরকে সেখানে গাড়ি পাকিং করতে নিষেধ করেন। এনিয়ে মেজর এনাম ও দিপুলের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মেজর এনাম তার উপর হামললা করেন। এ সময় পামের দোকানের ব্যবসায়ী মাসুক মিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও হামরা করেন মেজর। এরপর দোকান মালিক বিভাস বাইরে থেকে দোকানে এসে দাঁড়ালে তাকেও পিটিয়ে আহত করেন তিনি। পরে বিভাস ও তার ম্যানেজার পাল্টা হামলা চালালে স্থানীয় ও প্রত্যতক্ষদর্শীরা তাদের পক্ষ নেয়। ফলে পাল্টাপালিট এ হামরায় মেজর ও তার ভাইসহ উভয় পক্ষে ১০জন আহত হন। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবির্তও নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি মেজরসহ তার পরিবারের সদ্যসদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে দাবি করে বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তি বলেন, পুলিশ প্রটেকশন চাইলে মেজর ও তার পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে গেছেন তিনি।