মোবাইল কোর্টে দণ্ডিত সেই ১২১ শিশুর তথ্য হাইকোর্টে

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্টে দণ্ডিত হয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২১ শিশুর মুক্তির বিষয়ে আদালতকে অবহিত করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, ১২১ শিশুর মধ্যে ১১ জনকে আদালতের আদেশের পর তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দু’জন আদালতের মাধ্যমে জামিনে, একজনের সাজা ভোগ শেষ, ৮০ জনের জামিন হয়েছে, তবে আদেশের অনুলিপি এখনও পৌঁছেনি, বাকি ২৭ জনের জামিন আবেদন করা হয়েছে।
এ তথ্য হলফনামা আকারে রোববারের মধ্যে দাখিল করতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। শিশুদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও আইনজীবী ইশরাত হাসান।
এর আগে এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
ওইদিন আদেশে আদালত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ডিত ওই দুই কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের নিচের শিশুদের অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন। এছাড়া বাকিদের ছয় মাসের জামিন দেন। তারা সংশ্লিষ্ট শিশু আদালতে জামিননামা দেওয়ার পর মুক্তি পাবেন।
একইসঙ্গে তাদের দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পরে ১৮ নভেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করে। ওইদিন আদালত ২৬ নভেম্বরের মধ্যে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের কতজন মুক্তি পেয়েছে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। একইসঙ্গে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের কতজন জামিনে মুক্তি পেয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এছাড়া ১২১ শিশুর বাইরে মোবাইল কোর্টে দণ্ডিত অন্য কোনো শিশু সংশোধনাগারে আছে কিনা, থাকলে তাদের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাও জানাতে বলা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, আজ আদালতে জানিয়েছি, ১১ শিশুকে আদেশের পর তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া হয়েছে, দু’জন আদালতের আদেশে জামিনে রয়েছে, একজনের সাজা শেষ, ৮০ জনের জামিন হয়েছে, তবে জামিনের আদেশ এখনো পৌঁছেনি। বাকি ২৭ জনের জন্য জামিন আবেদন করা হয়েছে। এরপর আদালত বলেছেন এ তথ্য হলফনামা আকারে রোববার দাখিল করতে বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, আদালতকে জানিয়েছি ১২১ জনের বাইরে মোবাইল কোর্টে দণ্ডিত আর কোনো শিশু নেই।
‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন ৩১ অক্টোবর আদালতের নজের আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।