ছাতকে অধিকাংশ গ্রোসারী দোকান পেঁয়াজ শূন্য, বাজার মনিটরিংয়ের দাবী

6

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে হঠাৎ করেই অধিকাংশ গ্রোসারী দোকান পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়েছে। দোকানগুলো পেঁয়াজ শূন্য থাকায় ক্রেতারা পেঁয়াজ পাওয়া না পাওয়ার দোলাচলে ভোগছেন। জেল-জরিমানার ভয়ে অনেক ব্যবসায়ী বাজারে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। গতকাল রবিবার শহরের বিভিন্ন গ্রোসারী দোকানে ঘুরে পেঁয়াজ শূন্যের দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে। আবার হাতে গোনা কয়েকটি দোকানে চড়া মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতেও দেখা গেছে। শনিবার পেঁয়াজের লুকোচুরি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পর বিরোধি মন্তব্য করে যাচ্ছেন। পেঁয়াজ বাজার শূন্য হওয়ার কারন হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ৪৫ টাকা থেকে ৬০ টাকার অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করা হলে জেলা-জরিমানা হবে। এমন ষ্ট্যাটাস ফেইসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে ভাইরাল করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মোটা অংকের জরিমানা আদায়ও করা হয়েছে। ফেইসবুকের এসব ষ্ট্যাটাস দেখে তারা ভীত হয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ীদের দাবী আড়ৎ থেকে ক্রয়কৃত পাইকারী মূল্যের চেয়ে সামান্য মুনাফা করে তারা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তারা পাইকারী ক্রয়ের রিসিটও সব সময় হাতের কাছে রেখে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। কোথাও ৪৫ থেকে ৬০ টাকায় পেঁয়াজ ক্রয় করা যাচ্ছে না। তাই জেল-জরিমানা এড়াতে তারা আপাতত পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। এ ব্যাপারে একাধিক ক্রেতা ব্যবসায়ীদের দিকে আঙ্গুল তুলে জানান, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দেশে সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। আরো অধিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করার লোভে স্থানীয়ভাবেও সিন্ডিকেট তৈরী করে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখে দোকান শুন্য করে রেখেছেন। ফলে ক্রেতা সাধারণ পেঁয়াজ কিনতে দোকানে-দোকানে ঘুরছে। এদিকে শনিবার যে পেঁয়াজ ১১০ ও ১২০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল, সেই পেঁয়াজ-ই কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ১৪০ ও ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ছাতক মধ্যবাজার, গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজার ও পয়েন্ট এবং জাউয়া বাজারের বিভিন্ন গ্রোসারী দোকানে ১৭০-১৮০টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানে পেঁয়াজ না থাকায় ক্রেতারা ওই দোকানে ভিড় করে উচ্চ মুল্যেই পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। অনিয়ন্ত্রিত পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবী করেছেন এখানের ক্রেতা সাধারণ। এ ব্যাপারে শহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাপস শীল জানান, বাজার মনিটরিং করে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।