সিলেটের ৩৭ জন সহ বেসরকারী স্কুল-কলেজের ৮৯৬ শিক্ষক কর্মচারী এমপিওভুক্ত ॥ চলতি মাস থেকেই কার্যকর

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
এমপিওভুক্ত হলেন বেসরকারী স্কুল ও কলেজের ৮৯৬ শিক্ষক কর্মচারী। চলতি নবেম্বর মাস থেকেই তাদের এমপিও কার্যকর হবে। এদিকে টাইমস্কেলের পরিবর্তে বেসরকারী স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রবিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এমপিও কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিনজন কর্মকর্তা, অধিদফতরের দুইজন পরিচালক, নয়জন আঞ্চলিক উপ-পরিচালকসহ ৩৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, নতুন এমপিওভুক্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৫০ জন, চট্টগ্রামের ৭১ জন, কুমিল্লায় ৫৩, ঢাকার ২০৯, খুলনায় ৯৮, ময়মনসিংহ ৯৫, রাজশাহীতে ৮৭, রংপুরে ১৮৯ এবং সিলেটের শিক্ষক কর্মচারী আছেন ৩৭। তারা সকলেই বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পেতে অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। এছাড়াও অফলাইনে আবেদনকারীদের মধ্যেও সাতজনকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমপিও কমিটি। ভুল সংশোধন আছে এক হাজার ১৯২ জনের। বদলি ৩০০, পদোন্নতি ১৮২ এবং ৫৪ জনকে বকেয়া দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভায়।
এছাড়া টাইমস্কেলের বদলে বেসরকারী স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমপিও বিধিমালাতে টাইমস্কেলটা উচ্চতর বেতন স্কেলের কথা বলা হয়েছে। টাইমস্কেলটা ২০১৫ সালের যে পে-স্কেল সেই পে-স্কেলে টাইমস্কেলটা বাদ দেয়া হয়েছে। এখন ২০১৮ সালের যে এমপিও বিধিমালা সেখানে উচ্চতর বেতন স্কেল হিসেবেই এটা ধরা আছে।
বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা) কর্মরত শিক্ষকরা আগে চাকরির ৮ ও ১৬ বছর পূর্তিতে দুটি উচ্চতর স্কেলের সুবিধা পেতেন। ২০১৫ সালের অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল চালু হলে শিক্ষকদের এ সুবিধা বাতিল করা হয়। ২০১৮ সালের জুনে বেসরকারী এমপিওভুক্তির নীতিমালা ও জনবল কাঠামো নতুন করে প্রণীত হলে সেখানে ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে আবারও দুটি উচ্চতর স্কেল প্রাপ্তির সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারির দেড় বছর পার হয়ে গেলেও শিক্ষকরা এই সুবিধা পাননি এখনও। সারাদেশের এমপিওভুক্ত লক্ষাধিক শিক্ষক এটি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেও বঞ্চিত হচ্ছেন।