হাওরপারের কৃষি ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে কাজ করবে হাওর বাঁচাও আন্দোলন

5

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হাওরবাসীর অধিকারে পক্ষে গড়ে ওঠা হাওর বাঁচাও আন্দোলন হাওরপারের কৃষি ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পক্ষে সর্বদা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাবে। পাশাপাশি বাঁধ নির্মাণসহ কৃষিখাতে সরকারি বরাদ্দে যে কোন ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধেও সচেষ্ট থাকবে সংগঠনটি। সম্পূর্ণ অলাভজনক এই সংগঠন এখন থেকে হাওর অধ্যুষিত সাত জেলায় তাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করবে। সামগ্রিক কার্যক্রম সুনামগঞ্জ থেকে পরিচালিত কেন্দ্রীয় কমিটি তত্ত্বাবধান করবে।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় সুনামগঞ্জ শহরের লতিফা কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সংগঠনের দায়িত্বশীলরা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তযোদ্ধা এডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিজেন সেন রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে পূর্বের ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ নামকরণ করা হয়। এখন থেকে বাংলাদেশে হাওরাঞ্চল হিসেবে খ্যাত সাতটি জেলায় কাজ করা হবে। এছাড়া, সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ অভিযানে প্রকৃত কৃষকদের কাছে থেকে ধান ক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানানো হয় সভা থেকে। পাশাপাশি সংগঠনের একটি মনিটরিং দল এই কাজে খোঁজ খবর নিয়ে কোথাও অনিময় দেখলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, আগামী বোরো মৌসুমে হাওরের ফসল রক্ষার জন্য যেসব এলাকায় বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব এলাকায় যাতে হাওরের উপকারভোগী প্রকৃত কৃষকদের উপস্থিতিতে কার্যকর গণশুনানি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় সেই আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে বাঁধ নির্মাণে দলীয়করণ, আত্মীয়করণসহ সকল প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির পথ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। কাজের স্বচ্ছতার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিগত বছরে বাঁধ নির্মাণে যুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের অন্য উপজেলায় বদলি করে নির্মাণ কাজ তদারকির দায়িত্ব দিতে পাউবোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া, আগামী দুই মাসের মধ্যে সকল উপজেলায় সংগঠনের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সহ-সভাপতি ও জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আল আজাদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা আহবাব চৌধুরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি সুখেন্দু সেন হারু, এডভোকেট স্বপন কুমার দাস রায়, উপদেষ্টা বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী ভানু, রনেন্দ্র দে মিন্টু, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, সদস্য ইয়াকুব বখত বহলুল, অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুর রহমান, কাজী নুরুল আজিজ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহীন চৌধুরী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহল আমিন, একে কুদরত পাশা, এমরানুল হক চৌধুরী, নির্মল ভট্টাচার্য্য, মাসুম হেলাল, দপ্তর সম্পাদক স্বপন দাস, প্রচার সম্পাদক রাজু আহমদ, অর্থ সম্পাদক প্রদীপ পাল, বাঁধ বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, জন সংযোগ সম্পাদক শহীদনূর আহমেদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলী, মৎস্য বিষয় সম্পাদক গোলাম মওলা তোহা, সদর উপজেলা কমিটি আহ্বায় চন্দন রায়, শাল্লা উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস, জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ, দক্ষিণ উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ, সদস্য মানব চৌধুরী, অরুণ চন্দ্র দেব, আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।