দুবাই এয়ার শোতে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

21
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে দুবাই এয়ার শোতে অংশ নিয়ে দুবাই আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে পাঁচ দিনব্যাপী দুবাই এয়ার শো এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এয়ার শো পরিদর্শন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ফ্লাইং ডিসপ্লে উপভোগ করেন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার পাঁচ দিনব্যাপী ষোড়শ দ্বিবার্ষিক এয়ার শো ইভেন্ট ‘দুবাই এয়ার শো-২০১৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। দুবাইয়ের ভবিষ্যত বিমানবন্দরের (দুবাই আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবেও পরিচিত) দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে এই এয়ার শোটি শুরু হয়েছে।
১৭ থেকে ২১ নবেম্বর প্রতিদিন স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুবাইয়ের আকাশে দ্বিবার্ষিক এয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে সফল এয়ার শো এবং মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকা বৃহত্তম এরোস্পেস ইভেন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে এই এয়ার শোতে অংশ নেন। পরে তিনি দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফ্লাইং ডিসপ্লে উপভোগ করেন। এ বছর সারাবিশ্বের ৮৭ হাজারের বেশি ট্রেড ভিজিটর ও এক হাজার তিন শ’র বেশি এক্সিবিটর দুবাইয়ের ভবিষ্যৎ বিমানবন্দর দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে এ উপলক্ষে সমবেত হয়েছেন। এছাড়াও এতে ১৬০ দেশ থেকে ১৬৫ বিমান অংশ নিচ্ছে।
২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত এয়ার শো সাফল্যকে এবারের শোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের এই শোতে ১১ হাজার তিন শ’ ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যে অর্ডার পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল এয়ারবাসের কাছে ৪৩০ বিমানের জন্য ৪ হাজার নয় শ’ ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ইন্ডিগো পার্টনার্স অর্ডার এবং ফ্লাই দুবাইয়ের সঙ্গে বোয়িংয়ের ২ হাজার সাত শ’ মার্কিন ডলার চুক্তি। ১৯৮৯ সালে দুবাই এয়ার শোটি প্রথম প্রদর্শিত হয়। এটি এখন বেসামরিক বিমান শিল্পের জন্য একটি বৈশ্বিক প্লাটফরমে পরিণত হয়েছে। এখানে বিশ্বের বিমান প্রস্তুতকারক এখানে তাদের প্রস্তুতকৃত নতুন মডেলের বিমান প্রদর্শন ও বিক্রয় করেন। পাশাপাশি, এখানে প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরের কোম্পানিগুলো নতুন নতুন প্রযুক্তি, সুযোগ এবং এই শিল্পের প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়েও আলোচনা করতে পারেন। ইউএই’র বিমান কোম্পানিগুলো বেশ কিছু নতুন অর্ডার ঘোষণা করে ও তাদের আগের চুক্তিগুলো নিশ্চিতের মাধ্যমে একে এই অঞ্চলের সবচেয়ে সফল ও বৃহত্তম প্রদর্শনিতে পরিণত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আবুধাবির শাংরিল-লা হোটেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহম্মদ ইমরান আয়োজিত এক নৈশভোজে তিনি যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সফরকালীন সময়ে ওই হোটেলেই অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রী দুবাই এয়ার শো-২০১৯ ও অন্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চারদিনের সরকারী সফরে শনিবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত পৌঁছেন।