বাংলাদেশের সাথে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের প্রসারে এলসি স্টেশন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের – মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমা

15
সিলেট ক্লাবে মেট্রোপলিটন চেম্বারের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ভারতের মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সংমা সহ ভারতীয় প্রতিনিধি দল।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরড সাংমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত মেঘালয় সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে সিলেট ক্লাবে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতের মেঘালয় সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সংমা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার শিল্প, বাণিজ্য, সামাজিক অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সমূহের উন্নয়নে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে পাবলিক টু পাবলিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। তিনি পর্যটন খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও মেঘালয়ের ট্যুর অপারেটরদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান অপার বাণিজ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর এখনই সময়। ভারতকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিলে বাংলাদেশের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে তেমনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলও দারুণ লাভবান হবে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য সুন্দরভাবে চালু রাখতে চাই কিন্তু পরিবেশের ভারসাম্যের কথা বিবেচনা করে মাঝে মধ্যে কয়লা রপ্তানী বন্ধ করা হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে ভারত সরকার কাজ করছে। তিনি বাংলাদেশের সাথে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের প্রসারে নতুন দুইটি এলসি স্টেশন চালুর পরিকল্পনা ভারত সরকারের রয়েছে বলে জানান। তিনি চেম্বারের প্রতিনিধিদলকে শিলং ভ্রমণের আহবান জানান।
সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি আফজাল রশীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেঘালয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী স্নিবাভলং ধর, মেঘালয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রী লাহকম্যান রায়ম্বুই, কৃষি মন্ত্রী বন্টেইডর লিংগদোহ।
বক্তব্য রাখেন ইন্ডিয়ান হাই কমিশনার এল. কৃষ্ণ মূর্তি, কৃষি বিভাগের প্রধান সচিব শাকিল আহমেদ, বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগের কমিশনার ও সেক্রেটারি মেবাংশাই আর সিন্রেম, পরিকল্পনা বিভাগের কমিশনার ও সেক্রেটারি ড. বিজয় কুমার ডি, খনি ও ভূতত্ত্ব বিভাগের সচিব ড. সি মঞ্জুনাথ, সিঅ্যান্ডআরডি এবং কৃষি বিভাগের উপ-সচিব শান্তনু শর্মা, মেঘালয় ইন্সস্টিটিউট অব এন্টাপ্রেনারশিপ পরিচালক বাপহিংক সোহেলিয়া, বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগের সহকারি পরিচালক ডাব্লিউ ওয়ারশং, সিএম অফিসের ওএসডি সাইদুল খান, ভিডিওগ্রাফার উদ্দীপ্ত সংকর পাঠ, ট্যুর অপারেটর ধীপক এন মারাক, ওয়াক ইয়ুথ নাইন লিভস ট্যুর অপারেটর জন এম ওয়ানখার, ডুয়া ট্রেইল ব্লেজার জেরাল্ড দুয়া, ক্লারা ট্যুর ই. বি. ব্লাহ, পাওনিয়ার অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর অপারেটর জেসন লামারে, স্মোকি ফলস ট্রাইব কফি উদ্যোক্তা দাসুমরলিন মাজাউ, জ্ঞান ও পরিষেবাদি প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্যোক্তা বিজয় বায়ারসাত, মেসার্স একোক্রোফ্ট উদ্যোক্তা বোনকি আর মারাক, ইন্ডিয়ান এসিসটেন্ট হাই কমিশন সিলেটের বাণিজ্য প্রতিনিধি সনজীব কুমার, সেক্রেন্ড সেক্রেটারী গীরিশ পুজারী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রাক্তন সভাপতি হাসিন আহমদ, ১ম সহ-সভাপতি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আটাব সিলেট অঞ্চলের সাবেক ১ম সহ-সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল, সাবেক সহ সভাপতি হুরায়রা ইফতার হোসেন, পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, মো. মুহিতুল বারী, অজয় ধর, আটাবের সেক্রেটারী মো. জিয়াউর রহমান খান, ট্যুর অপারেটর মো. জুনায়েদ আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সাবেক সভাপতি হাসিন আহমদ। বিজ্ঞপ্তি