জগন্নাথপুরে বেড়িবাঁধ কাটা নিয়ে উত্তেজনা, ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন কঠোর

12

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ কাটা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের পাশে বড় ডহর নদীর মুখে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে। এ বাধের কারণে স্থানীয় পিপরাইল, বইছাখালী ও কাপনার হাওর সহ ছোট ৩টি হাওরের ফসল রক্ষা হয়ে থাকে। তবে গত কয়েক মাস আগে মাছ ধরার জন্য কে বা কারা উক্ত বেড়িবাঁধ কেটে দেয়। তখন বর্ষা মৌসুম থাকায় তা কারো নজরে আসেনি।
বর্তমানে কেটে দেয়া বেড়ি বাঁধের ভাঙন নিয়ে হাওরের পানি নদীতে নামতে শুরু করেছে। তা দেখে স্থানীয় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। কারণ হাওরের পানি নেমে গেলে পানির অভাবে বোরো ধান চাষাবাদ করা যাবে না। অবশেষে গন্ধর্বপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে ২৭ অক্টোবর রবিবার বাঁধের ভাঙনে মাটি ভরাট করা হয়।
তবে ২৮ অক্টোবর সোমবার গন্ধর্বপুর গ্রামের নুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া ও মৃত ইয়ান উল্লার ছেলে কালা মিয়ার লোকজন হাওরে মাছ ধরার জন্য আবারো বাধটি কেটে দিয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় গন্ধর্বপুর গ্রামের ১০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রদান করা হয়। এতে লিখিত সুপারিশ করেন রাণীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা, ইউপি সদস্য ইসরাক আলী ও নারী ইউপি সদস্য এলাছি বিবি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নিতে কৃষকদের দেয়া অভিযোগটি থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে-এ বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর মিয়া ও কালা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।