মৌলভীবাজারে মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি ॥ মেজর জিয়া সেনাবাহিনীর ১২শ’ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছিলেন

18
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি।

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে মেজর জিয়া সেনাবাহিনীর ১২শ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ছিলেন। তার স্ত্রী পুত্র মিলে আওয়ামী লীগের ৩৬ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করেছিল। তখন মির্জা ফখরুলের চোখে পানি আসেনি। মা-পুত্র দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। বাংলা ভাই আব্দুর রহমানের মাধ্যমে দেশে জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যুৎ, কৃষি, বৈদেশিক রপ্তানী, তথ্য প্রযুক্তিসহ সর্বক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হচ্ছে এ গুলো ফখরুল সাহেবের চোখে পড়ে না। উনার চোখে ছানি পড়েছে নতুবা তিনি হিংসাপরায়ণ। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশ বহু স্বীকৃতি পেয়েছে। শেখ হাসিনা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলেছেন। তারই দলের কর্মী আমরা ২/১ জন ব্যক্তির জন্য দলের গায়ে কলঙ্ক লাগতে দেয়া হবে না।
শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্লাবের ক্যাসিনোকে কেন্দ্র করে দলের গায়ে কলঙ্ক লাগানো হচ্ছে। জিয়াউর রহমান ৭৭সালে মদ জুয়ার লাইসেন্স দিয়ে ক্যাসিনো শুরু করেছিলেন। লোকমান, শামীম বিএনপি থেকে আসা। খালেদার কাছের লোক। শামীম কাদের মাসোয়ারা দিত, তার ডায়রীতে লেখা আছে। সেখানে বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার সাথে মির্জা ফখরুলের নামও আছে। অপরাধীদের কোন দল নেই।
আবরার হত্যার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশ, যে কোন অপকর্মের সাথে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীর কোন ছাড় নেই। আবরারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপি নেত্রী দুর্নীতির মামলায় জেলে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী সংগঠন। আন্দোলন কিভাবে করতে হয় এবং আন্দোলন কিভাবে প্রতিহত করতে হয় তা আওয়ামী লীগ জানে। আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ কর্মী যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
জুড়ী শিশুপার্কে অনুষ্টিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ এমপি।
জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন।
বিশেষ বক্তা ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। এছাড়া সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।