সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আফসর আজিজ এর কবল থেকে ঘাসিটুলা বড় মসজিদের জমি রক্ষার আবেদন

8

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আফসর আজিজ গংদের কবল থেকে নগরীর ঘাসিটুলা বড় মসজিদের ভূমি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন মসজিদের মোতাওয়াল্লী মো. সামছুজ্জামান। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপও চেয়েছেন। গতকাল রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৫৭ সালে স্থানীয় বাসিন্দা রহিম বক্স ওয়াকফ দলিল মূলে ঘাসিটুলা মসজিদে ১৫ শতক ভূমি দান করে যান। দীর্ঘ ৬২ বছর থেকে এ ভূমির রক্ষণাবেক্ষণও মজসিদ করে আসছে। সম্প্রতি গত ১৪ সেপ্টেম্বর মরহুম আব্দুল গণির ওপর ভাই আব্দুল মনাফের বর্তমান তৃতীয় উত্তরাধিকারী জাকারিয়া জাকুর সহযোগি সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আফসর আজিজের নেতৃত্বে ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মতছির আলী ও তার ভাই মোবশ্বির আলী, জুয়াড়ী জাকির, সন্ত্রাসী জয়নুল হক, ময়নুল হক স্বপন, হত্যা মামলার আসামী আব্দুল মনাফ ও আব্দুস সালামসহ কয়েকজন ভূমিখেকো সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে এ ভূমির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এ সময় খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত হয়ে দখলে বাধা দেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরদিন মসজিদ কমিটি সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত দলিলাদি পর্যালোচনা করে বিবাদীদের প্রতি সমন ইস্যু করত ভূমির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে গত ২৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা মসজিদের অনুকূলে তদন্ত প্রতিবেদন জমাও করেন। কিন্তু আসামীরা তাকে তদন্ত কাজে বাধা প্রদান করায় নন এফআইআর ধারা-১০৭/১১৭ মামলার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
এমতাবস্থায় তিনি আফসর আজিজ গংদের হাত থেকে জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনাও করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী মো. জিলাল, ক্যাশিয়ার মো. মানিক মিয়া, সহ সেক্রেটারী মো. আব্দুল মতিন, সহ-ক্যাশিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, সদস্য মো. জিলাল উদ্দিন, মো. এখলাছুর রহমান, মো. শাহজাহান, মো. সুহেল মাহমুদ, মো. সামছুদদীন, মো. জামাল উদ্দিন, মো. হেলাল মিয়া, মো. সিরাজ মিয়া, মো. আবুল কালাম, মো. আব্দুর সাত্তার ও মো. মইন উদ্দিন।