প্রথম চালানে ৩০ টন ইলিশ গেল ভারতে

20

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির প্রথম চালানে ৩০ টন ইলিশ ওপারে গিয়েছে।
সোমবার দুপুরে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আটটি ট্রাকে করে ৩০ হাজার ৫৬০ কেজি ইলিশের চালানটি বেনাপোল বন্দরে এসে পৌছালে কাস্টমস কর্মকর্তারা দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রপ্তানির ছাড়পত্র দেন।
এর মধ্য দিয়ে সাত বছর পর বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি হলো। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাকে শুভেচ্ছা হিসেবে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেয় সরকার। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে। প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য ধরা হয়েছে ৬ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫০০ টাকা।
ইলিশের সংকট দেখা দিলে ২০১২ সালে এই রুপালি মাছ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। এরপর থেকে বৈধভাবে বাংলাদেশের ইলিশ আর কলকাতায় যাচ্ছে না।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মহিতুল হক জানান, শুধু ৫০০ টনই পাঠানো হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের কলকাতায় ইলিশ নিয়ে সেখানকার বাজারে তা বিক্রি করবেন। মূলত কলকাতার বাজারেই এই ইলিশ বিক্রি হবে।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান একোয়াটিক রিসোর্স লি. ঢাকা এবং ভারতের আমদানিকারক নাজ ইমপেক্স ইন্ডিয়া লি. কলকাতা।
কলকাতায় ইলিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে শুভেচ্ছা হিসেবে। প্রথম চালান সোমবার ভারতে পৌছেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয় গত ২২ সেপ্টেম্বর। এই ইলিশ কয়েক ধাপে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গে।
বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশ যাচ্ছে কলকাতায়। এরপর এই ইলিশ চলে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। এ বছর পশ্চিমবঙ্গে তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। গত বছর যে ইলিশ ২০০ রুপি কেজিতে বিক্রি হয়েছিল, এবার সেই ইলিশ ৫০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।