ক্যাসিনো পণ্য আমদানি স্থগিত রাখার নির্দেশ

16

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সম্প্রতি রাজধানীতে শুরু হয়েছে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। এরই মধ্যে অবৈধ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আলোচিত কয়েক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখনও অব্যাহত রয়েছে এই অভিযান। দেশে ক্যাসিনো নিষিদ্ধ হলেও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পণ্য কিভাবে দেশে আসছে এমন প্রশ্ন ওঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ক্যাসিনোতে ব্যবহৃত পণ্য আমদানি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে ক্যাসিনো পণ্য আমদানি স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দেশে ক্যাসিনো অবৈধ হলেও এতদিন আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় ক্যাসিনোতে ব্যবহৃত পণ্যগুলো ছিল না। ফলে সেগুলো খেলার সামগ্রী ও বিভিন্ন নামে বিভিন্ন দ্রব্যের সঙ্গে এসেছে। তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের পর থেকে এসব পণ্য আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। শুধু বিদেশীদের জন্য সীমিত আকারে মদ চালু ছিল। কিন্তু আমাদের দেশে ক্যাসিনোর কোন অনুমতি নেই। এনবিআর চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, ক্যাসিনো পণ্যগুলো আমদানি নীতিতে নিষিদ্ধ না থাকলেও আমাদের দেশে একটা আইন আছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এমন পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ। ক্যাসিনো পণ্যকে নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় ক্যাসিনো পণ্যকে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সপ্তাহের মধ্যেই বাণিজ্য সচিবকে ক্যাসিনোতে ব্যবহৃত পণ্যকে আইপিওতে নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চিঠি দেব। আমরা ভাবি নাই যে আমাদের দেশে ক্যাসিনো চালু হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, অবৈধ ক্যাসিনো বন্ধ করা কিংবা সেখানে মানুষের আনাগোনা কমানো রাজস্ব প্রশাসনের কাজ নয়। তবে ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্যাসিনো সামগ্রীর যন্ত্রপাতি কারা আমদানি করেছে তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এ নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান। মোশাররফ হোসেন বলেন, অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরাসহ ৮ জন এবং তাদের পরিবারের সদস্য মিলে মোট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে ২/১ জন ছাড়া বাকিদের ব্যাংকের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে তাদের কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, ক্যাসিনো অভিযান পরিচালনার সময় যেসব নগদ টাকা পাওয়া গেছে, সেসব টাকা আর করের আওতায় আনার সুযোগ নেই। সেগুলো বাজেয়াফত করা হবে। তবে ব্যাংকে যে টাকা পাওয়া যাবে, সেখান থেকে আইন অনুযায়ী কর আদায় করা হবে।