সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ কানাইঘাটে ছাত্রলীগ কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ

11

স্টাফ রিপোর্টার :
কানাইঘাটে ছাত্রলীগের সাবেক এক কর্মীকে ডেকে নিয়ে মারপিট করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু যুবক। হামলাকারীরা তাকে জিম্মিপূর্বক তার ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় তা ছড়িয়ে দিয়ে তাকে সমাজে হেয় করছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রলীগ কমী। গতকাল সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন কানাইঘাট উপজেলার উজান বারাপৈত পূর্ব গ্রামের মৃত হাজী ফয়জুর রহমানের ছেলে মো. কুতুব উদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে কুতুব উদ্দিন বলেন, তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশে আসার পর ফেইসবুক সূত্রে কানাইঘাট উপজেলার কওরঘড়ি গ্রামের জয় চক্রবর্তী মুন্না নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্রে মুন্না একদিন তাকে তার মামার বাসায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। সেই অনুযায়ী গত ৫ আগস্ট রাত আনুমানিক ৯টার দিকে কানাইঘাটের শাপলা পয়েন্টের ২০০ গজ পশ্চিমে রাস্তার মোড়ে আলমাছ ভবনের ৪র্থ তলায় তার মামার বাসায় যাওয়ার জন্য বলে। আমি সেখানে যাওয়ার পর মুন্নার কয়েকজন সহযোগী মিলে আমাকে ওই ভবনের ছাদের উপর নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা আমাকে জিম্মি করে গলা চেপে ধরে ৫০ হাজার টাকা দিতে বলে। অন্যথায় তারা এখানে আমার ভিডিও করে মন্দ কাজে এসেছি বলে প্রচার করবে এমন হুমকি দেয়। তখন তারা আমাকে মারপিঠ করে আমার পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা ও জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যায়। তাদের মারধরে আমি রক্তাক্ত জখম হই। এই জখম অবস্থায় তারা আমার ভিডিও ধারণ করে এবং বলে বাকি টাকা না দিলে এই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে বলবো তোকে লোকজন মারপিঠ করেছে। কারণ তুই খারাপ কাজে এখানে এসেছিলে। পরে তারা আমাকে এখান থেকে ছেড়ে দিলে আমি প্রথমে কানাইঘাটে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরে সিলেট ওসমানী হাসপতালে চিকিৎসা নেই। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা জানান শাপলা পয়েন্টে মুন্নাদের একটি গ্রুপ রয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ পরিচয় দিয়ে তারা সেখানে আড্ডা দেয় এবং নানা অপকর্ম করে। তাই তারা আমাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। আমি কানাইঘাট থানা পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের বিষয়টি অবহিত করি। আওয়ামী লীগের নেতারা নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। থানা পুলিশ লিখিত অভিযোগ পেলেও তারা জানান, এই গ্র“পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে কুতুব উদ্দিন সিলেটের পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমার জানমাল এবং সামাজিক মর্যাদার মারাত্মক ক্ষতি হবে।