নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ পড়ায় ॥ ফুঁসে উঠেছে আসামের হিন্দুরা

44

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতের আসামের নাগরিকপঞ্জি মুসলমানদের দেশছাড়া করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হলেও এতে সন্তুষ্ট নয় খোদ হিন্দুরাও। গত ৩১ আগস্ট জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাস্তায় নেমেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। ‘হিন্দুবিরোধী বিজেপি ফিরে যাও’ শ্লোগান দিয়ে আসামে বন্ধের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ আসামবাসী। কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর দাবি, বাদ পড়া ১৯ লাখের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ছয় লাখ মুসলমান। ১১ লাখেরও বেশি হিন্দু বাদ পড়েছে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে।
এ ব্যাপারে আসামের বিভিন্ন নেতারা মুখ খুললেও অদ্ভূতভাবে নীরব বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদরা। তারা নির্বাচনের সময় হিন্দুদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে ভোট পেয়েছিলেন। হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে তাদের পদত্যাগের দাবি নিয়ে পথে নেমেছে আসাম হিন্দু বাঙালি অ্যাসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনগুলো।
আসাম বাঙালি হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাসুদেব শর্মা বলেন, ‘১৯ লাখের মধ্যে মাত্র ছয় লাখ মুসলমান এবং এর দ্বিগুণ হিন্দু রয়েছেন। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০১৬ আসাম বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির একমাত্র প্রতিশ্রুতি ছিল হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়া। আমরা বারবার তাদের কথায় কান দিয়েছি এবং আজ মনে হচ্ছে আমরা এক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। রাজ্যে খাল কেটে কুমির ডেকে এনেছি আমরা।’
বজরং দলের এক কর্মী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের দল আজ রাস্তায় নেমেছে। রাজ্যপালের কাছে আমাদের কিছু দাবি আছে। গত ৩১ আগস্ট অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও মেনে নিয়েছেন যে অসমে ৫০ লাখেরও বেশি অবৈধ মুসলিম অন্প্রুবেশকারী রয়েছে। কিন্তু নাগরিকপঞ্জির যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হলো, তাতে অবৈধ মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের চেয়ে দ্বিগুণসংখ্যক হিন্দু এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এটা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না। আবার নতুন করে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তালিকা প্রস্তুত করার দাবি জানাচ্ছি।