সিলেট কারাগারের ২ জন ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীসহ ৩ কয়েদীর মৃত্যু

7

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ৩ কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন ছিলেন ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত, অন্যজন এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত এবং গতকাল শুক্রবার দুপুরে পৃথকভাবে এ তিনজন মারা যান।
এ তিন কয়েদিরা হচ্ছে- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার লোহারগাঁও গ্রামের আফিজ আলী ইউনুছ (৪৯), দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শস্যউরা গ্রামের জুবেদ আলীর পুত্র মছব্বির আলী ও নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকার ৪৮নং বাসার মন্তাজ আলীর পুত্র মোহাম্মদ মনোয়ারুল হক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আবু সায়েম ও ডেপুটি জেলার নুরুল মুবীন।
জেলার মো. আবু সায়েম বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকদের ধারণা, এরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। তাদের লাশ ময়না তদন্ত হয়েছে, প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি আরো বলেন, ইউনুছ ও মছব্বিরের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মনোয়ারের লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। এদের মধ্যে ইউনুছ ও মছব্বির ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। মনোয়ার চেক ডিজওনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।
জানা গেছে, চাচা রুস্তম আলীকে হত্যার ঘটনার মামলায় আদালত কর্তৃক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আফিজ আলী ইউনুছ গত বুধবার বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন কারা কতৃপক্ষ। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান। ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন। দক্ষিণ সুরমার মছব্বির আলী নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি ছিলেন। গত মঙ্গলবার বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি। এদিকে, ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার চেক ডিজওনার মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন মনোয়ারুল হক। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।