ওসমানীনগরে শ্লীলতাহানির শিকার তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী

3

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে এবার তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্লীলতাহানির শিকার ওই শিক্ষার্থী উপজেলার সাদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার গ্রামের বাড়ি নবীগঞ্জ উপজেলায় হলেও সে সাদীপুর গ্রামে তার খালার বাড়িতে থেকে ওই স্কুলে লেখাপড়া করছে। অভিযোগ ওঠেছে সাদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাদীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরাসহ স্থানীয়রা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সমঝোতার চেষ্টা করেন। এছাড়া ঘটনাটি থানা পুলিশকে না জানাতে ভিকটিমের পরিবার ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে ভিকটিমের পরিবার এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ঘটনায় মামলা করতে আগ্রহী না হওয়ায় ওসমানীনগর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা মান সম্মানের ভয়ে মামলা করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এ ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগও কোনো ব্যবস্থা নেননি। এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদীপর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পিয়ন উপজেলার ধরখা গ্রামের মোহাম্মদ উল্যার পুত্র আব্দুল গফুরকে (৫০) গতকাল বুধবার আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাদীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি অবস্থান রয়েছে। ৩১ আগস্ট টিফিনের ছুটিকালীন সময়ে ওই ছাত্রী সহপাঠিদের সাথে নাস্তা খাওয়ার জন্য সাদীপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে যায়। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের পিয়ন আব্দুল গফুর খারাপ উদ্দেশ্যে ভিকটিম ছাত্রীকে হাত ধরে টেনে ক্যান্টিনের ভেতরে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে সমঝোতা বৈঠক করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়। এপর থানা পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (চ:দা:) দিপালী সরকার বলেন, ওসি ও ইউএনও স্যারের মাধ্যমে বুধবার ঘটনাটি আমি জেনেছি। এর আগে প্রধান শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে ঘটনাটি অবগত না করায় আমি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনি। ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আল মামুন বলেন, এটি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত জায়গায় বাচ্চারা যদি যৌণ হয়রানির শিকার হয় তাহলে তারা আর কোথায় নিরাপদ থাকবে। স্থানীয় জটিলতার কারণে ভিকটিমের পরিবার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামলা করতে আগ্রহী হননি। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।