ওসমানীনগরে নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, লম্পট পিতা গ্রেফতার

7

শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
ওসমানীনগরে ঘুমের ঔষধ সেবন করিয়ে পিতা কতৃক ঔরসজাত ৪র্থ শ্রেণীর মাদ্রাসায় পড়–য়া কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানা মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকদারা (নোয়াগাঁও) গ্রামের মৃত শফিক মিয়া স্ত্রী ভিকটিমের চাচি সুরেতুন বেগম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মৃত সমছু মিয়া পুত্র লম্পট মাসুক মিয়া (৩৭) কে অভিযুক্ত করে রবিবার রাতে ওসমানীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ নির্যাতিতা মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে মামলা দায়েরের পর গতকাল সোমবার ভোররাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে লম্পট মাসুক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও মামলার এজার সূত্রে জানা যায়, পিতা নামের কলংক লম্পট মাসুক মিয়ার স্ত্রী গত ৬ বছর পূর্বে চার কন্যা সন্তান রেখে মারা যান। স্ত্রী মারা যাবার পর মাসুক একাধিক বিয়ে করলেও বর্তমানে কোনো স্ত্রীই তার সাথে নেই। ভিকটিম সহ তার অন্য তিন বোন স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্রী হিসেবে চার বোন লেখা পড়া করে আসছে। বিগত মাহে রমজানে মাদ্রাসা ছুটি হলে বোনদের নিয়ে নির্যাতিতা কিশোরী বাড়িতে আসে। এ সময় নিজের ঔরসজাত বড় কিশোরীকে(১৩)কে এলার্জির ঔষধ বলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে পিতারুপী হায়েনা লম্পট মাসুক মিয়া। এভাবে গত পহেলা মে, ২ মে, ১৫ আগষ্টমাসুক মিয়া নিজের বড় মেয়েকে নিজ বাড়িতে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মামলার বাদি ভিকটিম কিশোরির চাচী বলেন, গত ২৯ আগষ্টমাদ্রাসা ছুটি পাওয়ায় ভিকটিম আমার দেবরের কিশোরী মেয়ে বাড়িতে এসে ভয়ে বাবার ঘরে না শুয়ে অমার নিকট ঘুমায়। এ সময় সে আমাকে তার নিজের পিতা কর্তৃক একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হবার ঘটনাটি খুলে বললে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করে গতকাল রোববার নির্যাতিতা ভাতিজিকে সাথে নিয়ে ওসমানীনগর থানায় তার পিতা মাসুক মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন পিতা কর্তৃক নিজের কিশোরী মেয়েকে একাকিবার ধর্ষণের শিকার হবার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার(ওসিসিতে) প্রেরণ কার হয়েছে। লম্পট মাসুক মিয়া গ্রেফতার করে জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।