আজ থেকে ট্রেনের ছাদে ওঠা নিষিদ্ধ, অযথা চেন ট্রেন থামালে ২শ’ টাকা জরিমানা

18

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিনা টিকিটের যাত্রীরাই ট্রেনের ছাদে ওঠে। এছাড়াও অবৈধ পণ্য বহনকারীরাও ট্রেনের ছাদকেই নিরাপদ মনে করে। সরকার বিভিন্ন সময়ে এদের ঠেকানোর চেষ্টা করলেও অসাধু রেল কর্মচারী, ট্রেনের ভেতরে কর্মরত ট্রেন টিকিট এক্সামিনার (টিটিই), টিকিট কালেক্টর (টিটি), আরএনবি ও জিআরপি সদস্যদের কারণে তা পারছে না। এমন তথ্য উঠে এসেছে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বা অঙ্গহানির ঘটনা তদন্তে। ফলে আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে সারাদেশে ট্রেনের ছাদে ওঠা নিষিদ্ধ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কারাদন্ড ও জরিমানার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অকারণে বা যাত্রী নামতে চেন টেনে ট্রেন থামালে দুই শ’ টাকা জরিমানা।
আইনের বিধান অনুযায়ী, ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৯ নং ধারায় উল্লেখ আছে ‘যদি কোন ব্যক্তি বিপজ্জনক বা বেপরোয়া কাজের দ্বারা অথবা অবহেলা করে কোন যাত্রীর জীবন বিপন্ন করে’ তাহলে ওই ব্যক্তির এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা জরিমানা কিংবা উভয়দন্ডে দন্ডিত করার বিধান আছে। এ কাজে যারা জড়িত থাকবে সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে।
এ ব্যাপারে রেলের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনসার আলী প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে রেল কর্মচারী, আরএনবি ও জিআরপিকে সতর্ক করা হয়েছে যেন কোন ব্যক্তি ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে। এজন্য ষ্টেশন প্রাঙ্গণে মাইকিং করা হচ্ছে যাত্রীদের সতর্কীকরণে।
অভিযোগ রয়েছে ষ্টেশনে কর্মরত অসাধু কর্মচারী, জিআরপি ও আরএনবি সদস্যরা অসাধু যাত্রীদের লেডার বা মই দিয়ে কোচের ছাদে উঠতে সহায়তা করে অর্থ আদায়ের পথ খুলেছে। বিশেষ করে এ ধরনের অসাধুরা সরকারী টানা ছুটি আর ঈদের মৌসুমে যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে উঠতে সহযোগিতা করার বিভিন্ন স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ পেলেও সচেতন হয়নি সংশ্লিষ্টরা। বরং সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় অসাধুরা উৎসাহিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।