অতিরিক্ত ত্রাণ ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় কেন্দ্রে রাখতে কয়েকটি এনজিও’র প্রাণপণ চেষ্টা

28

কাজিরবাজার ডেস্ক :
রোহিঙ্গাদের অতিরিক্ত ত্রাণ প্রদানসহ মন জয় করে আশ্রয় শিবিরে স্থায়ী করে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে কয়েকটি এনজিও। সরকারের নির্দেশনা তথা এনজিও ব্যুরোর নিয়ম লঙ্ঘন করেছে তারা। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুয়ায়ী রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা না দেয়ার নিষেধ রয়েছে সরকারের। ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী একশ্রেণীর কর্মকর্তার খামখেয়ালি ও এনজিওদের কাছ থেকে উপঢৌকন পাচ্ছে বলে তারা দেখেও দেখে না। অতি উৎসাহী কিছু এনজিও আশ্রয় শিবিরে প্রতিটি স্কুলে বাংলা পাঠ্যবই শিক্ষা দিচ্ছে রোহিঙ্গা শিশুদের। সরকারের অজান্তে নগদ টাকাও বিলি করছে অনেকে। রোহিঙ্গাদের চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দেয়া হচ্ছে নিয়মিত। এর বাইরে কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের হাতে টোকেন ধরিয়ে দিয়ে ক্যাম্প এলাকায় দোকান ঠিক করে দিয়েছে। রোহিঙ্গারা ওই টোকেন নিয়ে দোকানে গেলে তাদের চাওয়া মাত্রই সব পণ্য দেয়া হচ্ছে। মাস শেষে ওসব পণ্যের মূল্য প্রদান করছে একাধিক এনজিও। রোহিঙ্গাদের বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলেই তারা সহজে মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহী হয়ে উঠছে না বলে মত প্রকাশ করেছে অভিজ্ঞ মহল।
সূত্র জানায়, মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের একদিন না একদিন ফিরে যেতে হবে নিজেদের দেশে। এনজিওগুলো যতই জামাই আদরে রাখার চেষ্টা করুক না কেন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা পর্যায়ক্রমে ফিরে যাবেই মিয়ানমারে। তারপরও রোহিঙ্গাদের মন জয় করে দীর্ঘদিন বাংলাদেশে রাখার পরিকল্পনার অংশবিশেষ বাংলা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে আশ্রিত রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের। তাদের বিদেশে নিয়ে যাবার লোভ দেখানো হয়েছে। একদিকে অতিরিক্ত ত্রাণ প্রদান অপরদিকে রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের বিদেশে নিয়ে যাবার লোভে রোহিঙ্গারা অনীহা প্রকাশ করছে নিজ দেশে ফিরতে। বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা পাসপোর্ট করাতে গিয়ে আঙ্গুলের চাপজনিত কারণে ধরা খাচ্ছে। ওই রোহিঙ্গাকে ফের ফেরত পাঠানো হচ্ছে আশ্রয় শিবিরে। রোহিঙ্গাদের বোঝানো হয়েছে, শিশু-কিশোরদের নিবন্ধন করা হয়নি। তাদের আঙ্গুলের চাপও কোথাও নেই। পাসপোর্ট করা গেলে রোহিঙ্গা ভাষা ছাড়াও তারা বাংলা লেখা এবং শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারবে। লিখতে পারবে শিখিয়ে দেয়া বাপ-দাদার ঠিকানা। তাই তারা সহজে পাসপোর্ট পাবে। পাড়ি দিতে পারবে বিদেশে। পরবর্তীতে এদেশের নাগরিক বলে দাবি করবে রোহিঙ্গারা। কুতুপালং শিবিরের রশিদুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা অভিভাবক জানায়, আমরা আগ্রহ করে স্কুলগুলোতে বাংলা পাঠ্যবই শেখাতে বলেছি।