বরমচাল-মুন্সিবাজার নতুন পাকা ব্রীজ ভেঙ্গে যান চলাচল বন্ধ

28

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার বরমচাল-মুন্সিবাজার নতুন পাকা সড়কের একটি ব্রীজ ভেঙে প্রায় তিন মাস ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই দুই উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
ব্রীজ ভাঙা থাকায় স্থানীয়রা নিজেরা চাঁদা তুলে একটি সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন। এই সড়কের আরও দু’টি ব্রীজের অবস্থাও জরাজীর্ণ।
ডানকান ব্রাদার্সের অধীনস্থ কুলাউড়ার বরমচাল চা বাগান ও রাজনগরের করিমপুর চা বাগানের ভেতর দিয়ে উপজেলা সড়ক নামে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৮/০৯ অর্থ বছরে তৎকালীন বরমচাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহান সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করলে চলতি বছরে এলজিইডির বাস্তবায়নে সড়কটি নির্মাণ হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজ ভাঙা থাকায় সাঁকো দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে মানুষ। ভারী যান চলাচলে বিঘœ ঘটলেও ছোট ছোট যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ওই সাঁকোর উপর দিয়ে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী বেশিরভাগ চা শ্রমিক হওয়ায় ওই সাঁকো নির্মাণের সময় চাঁদা দিতে পারেনি। তাই তারা ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রীজ দিয়েই চলাচল করছে।
জানা যায়, কুলাউড়া-রাজনগর উপজেলা এলজিইডি’র অধীনে ৮.৮৫ কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়। কুলাউড়া উপজেলা অংশে প্রায় ৫.৮৫ কিলোমিটার এবং রাজনগর উপজেলা অংশে প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়। কুলাউড়া অংশে এ কাজে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি টাকা এবং রাজনগর অংশে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। মোট খরচ ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এদিকে কাজ শুরুর আগে সড়কটি ছিল কাঁচা। ব্রীজগুলো ছিল অনেক পুরনো। তবে রাস্তার অবস্থা ভালো না থাকায় আগে ভারী যানবাহন চলাচল কিংবা অতিরিক্ত যান চলাচল করতো না। তাই ওই ব্রীজ দিয়ে অনায়াসে মানুষ যাতায়াত করতে পারতো। কিন্তু সড়কটি পাকা হওয়ার পর কম সময়ে যাতায়াতের জন্য ভারী যানসহ বিভিন্ন শ্রেণির যান সড়কটি ব্যবহার শুরু করে। এতে ওই পুরনো ব্রীজগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ায় কোনটি ধসে পড়েছে, কোনটির অবস্থা নাজুক।
বরমচাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাজাহান বলেন, অল্প সময়ে মৌলভীবাজার-সিলেট যাতায়াতের জন্য বরমচাল, ভুকশীমইল ও ভাটেরার মানুষের সুবিধার্থে এ সড়কের প্রস্তাবনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছে। স্থানীয়রা ছাড়াও চা বাগানের শ্রমিকেরা অনেক উপকার ভোগ করবে। তবে একটি ব্রীজের জন্য সাময়িক ভোগান্তি হচ্ছে, দ্রুত তা পুননির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কুলাউড়া এলজিইডি প্রকৌশলী ও রাজনগর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ইসতিয়াক হাসান বলেন, ইতোমধ্যে ওই ব্রীজটির মাটি টেষ্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। ব্রীজসহ রাজনগর অংশের আরও দু’টি জরাজীর্ণ ব্রীজ পুননির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।