নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অধ্যাপক মোজাফফর

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা, বাংলাদেশের ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি ও উপমহাদেশে বাম রাজনীতির অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য এনামুল হক জানান, বাদ জোহর পঞ্চম জানাযা শেষে নিজ গ্রাম কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদে গার্ড অব অনারসহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কুমিল্লা টাউন হলে সকাল ১০টায় চতুর্থ নামাজে জানাযা শেষে গ্রামের বাড়ি এলাহাবাদ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের ট্যানেলে তাঁর প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোজাফফর আহমদকে গার্ড অব অনার ও রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করা হয়। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জানাযা শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সহকারী সামরিক সচিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান। জানাযার আগে মরহুমের জীবনী পাঠ করেন ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
পরে নিউমার্কেট দলীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হয়। সেখানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সর্বস্তরের মানুষ এই প্রবীণ রাজনীতিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।