জকিগঞ্জে পুুলিশের সঙ্গে ডাকাত দলের গোলাগুলিতে এক ডাকাত নিহত

13

ষ্টাফ রিপোর্টার  :
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য বলে দাবি করছে পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ২ টার দিকে উপজেলার মরিচা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার ধর্মদেহী গ্রামের নানু মিয়ার পুত্র আবুদস শহীদ উরফে ফুলু উরফে ফুলু ডাকাত।
সিলেট জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মরিচা গ্রামের প্রবাসী আব্দুল করিমের বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত সমবেত হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় মরিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছা মাত্র ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আতœ-রক্ষার জন্য পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন প্রবাসী আব্দুল করিমের বাড়ীতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পেয়ে চিৎকার করলে পুলিশ গিয়ে তার সাথে থাকা দেশীয় তৈরি পাইপগানসহ তাকে আটক করে এবং তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণের ব্যবস্থা করে। পরে ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ১টি ৩০ ইঞ্চি লম্বা রামদা, ১টি ছোরা ও ১টি দরজা ভাঙ্গার লোহার রড় উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশের টহল দল গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত ফুলু ডাকাতের নামে সিলেট জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।
সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাপর সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারে সিলেট জেলার সকল থানার সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।