আদালতে দু’বন্ধুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ॥ ‘চুরি দেখে ফেলায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে নাঈমকে হত্যা করি আমরা’

10

ষ্টাফ রিপোর্টার :
অটোরিক্সা চুরি করতে গিয়ে দুই বন্ধু মিলে খুন করে অপর এক বন্ধুকে। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে যায় টিলার উপর। একদিন পর পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ঘাতক দুই বন্ধুকে আটক করেছে। গতকাল শনিবার আদালতে আটক দুই বন্ধু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে, নাঈম আহমদ (১৫) নামের ওই বন্ধুর অটোরিক্সা চুরি করে তারা। বিষয়টি দেখে ফেলায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ^াসরুদ্ধ করে তাকে খুন করে। পরে কুমারপাড়া এলাকায় রিকশা ফেলে রেখে ব্যাটারি নিয়ে দক্ষিণ সুরমার একটি দোকানে বিক্রি করে। গতকাল শনিবার রুকন ও পারভেজ সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
নিহত নাঈম নগরীর বালুচরের সোনাই মিয়ার কলোনির আব্বাস উদ্দিনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালুচর লালটিলার উপর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে- নগরীর শাহীঈদগাহ হাজারীবাগের আবদুল মুমিনের পুত্র আবদুর রুকন (২২) ও একই এলাকার আবদুল করিম পিয়ারের পুত্র পারভেজ (২১)।
আদালতের বরাত দিয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদৎ হোসেন জানান, নাঈমের অটোরিক্সাটি চুরির সময় সে দেখে ফেলে। এসময় তারা নাঈমকে শ^াসরুদ্ধ করে খুন করে লাশ বস্তাবন্দি করে। পরে লাশটি লালটিলার উপর ফেলে আসে। চুরির পর অটোরিকশাটি শাহীঈদগাহ কুমারপাড়া এলাকায় ফেলে রেখে ব্যাটারি খুলে নিয়ে দক্ষিণ সুরমার একটি দোকানে বিক্রি করে দেয়। ওসি শাহাদত হোসেন আরও জানান, রুকন ও পারভেজেরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ সুরমা থেকে রিকশার ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে।