নদী ও রাস্তায় ফেলে সিলেটে ৯০ ভাগ কোরবানীর পশুর চামড়া নষ্ট

6

ষ্টাফ রিপোর্টার :
এবার পবিত্র ঈদুল আযহায় সংগ্রহ করা কোরবানির পশুর চামড়া নদী, রাস্তার পাশে ফেলে রাখা ও মাটিতে পুঁতে নষ্ট করা হয়েছে। চামড়া বিক্রি করতে না পারায় প্রতিবাদ স্বরূপ সিলেটে প্রায় ৯০ ভাগ চামড়া এভাবে নষ্ট হয়েছে বলে দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের। এসব কোরবানির পশুর চামড়া প্রতি ঈদুল আযহায় সিলেটের বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা সংগ্রহ করতেন।
গতকাল বুধবার বালাগঞ্জ উপজেলার ৫টি মাদরাসার সংগ্রৃহীত সাড়ে ৩ শত গরুর চামড়া ফেলে দেওয়া হয় কুশিয়ারা নদীতে। শুধু বালাগগঞ্জ নয়, সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় মাদরাসাগুলোতে এমনটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। আর সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় দাম না পাওয়ায় রাস্তার পাশে চামড়া ফেলে রাখা হয়। মহানগর এলাকা থেকে অন্তত; ২০ ট্রাক পশুর চামড়া ময়লার ভাগাড়ে নিয়ে পুঁতে ফেলা হয়, জানিয়েছে সিসিক সূত্র।
মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল বাতিন বলেন, মাদরাসা পরিচালনায় তহবিলের জন্য প্রতি বছর চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়। এবার ক্রেতা নেই। চামড়া পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। আর মাটিতে পুঁতার জন্য পর্যাপ্ত জায়গাও নেই, তাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
সিলেট বহুমুখী চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ শামীম আহমদ বলেন, চামড়ার দর নেই, ক্রেতাও নেই। তাই মানুষ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় ও নদীতে ফেলে দিয়েছে। দাম না পেয়ে সিলেটে প্রায় ৯০ ভাগ চামড়া নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আর ১০ ভাগ চামড়া স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকায় আড়তে আটকে থাকা অর্থ ফেরত পাননি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অনেক ব্যবসায়ীকে ৩২ লাখের স্থলে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩ লাখ টাকা। শুধু সিলেটের ব্যবসায়ীরা আড়তে পাওনা রয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। একইঅবস্থা কেবল সিলেটে নয়, সারা দেশের।
অন্যদিকে চামড়ার দাম কমিয়ে প্রতি পিস গরুর চামড়া ৪৫ টাকা ও খাসি-ছাগলের চামড়া ১০ টাকা ফুট নির্ধারণ করে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। আর সিলেটের চামড়া ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস চামড়ার দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার বেশি দিতে রাজি হননি। এমনকি অনেক ব্যবসায়ী বাকিতে চামড়া কিনতেও রাজি না হওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রাস্তায় চামড়া ফেলে প্রতিবাদ জানান। পরে চামড়াগুলো ময়লার সঙ্গে তুলে নেয় সিসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।