মুজিববর্ষ উদযাপনে থাকতে চায় ভারত

21

কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কর্মসূচির অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত।
ভারত সফররত বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সপ্তম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদি ও আসাদুজ্জামান খানের মধ্যে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০২০ সালে তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত।
মোদির সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শুরুতে সদ্য প্রয়াত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে আসাদুজ্জামান খান গভীর শোক প্রকাশ করেন।
১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে একটানা তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমান্তে মাদকসহ সকল চোরাচালান বন্ধে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি নিরাপদ ও কার্যকর সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান যে ভারত সরকার ইতিমধ্যে মিয়ানমার সরকারের
সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেছে। ভারত সরকার মনে করে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন মোদি।
বৈঠকে এ এলাকার আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নে বিমসটেক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মোদি মনে করেন।
বাংলাদেশের ভূমি ব্যাবহার করে কোনো সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী যাতে ভারতসহ অন্য কোন দেশের ক্ষতি করতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত নীতির প্রশংসা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্বে এক রোল মডেল বলে অভিহিত করে বিশেষজ্ঞদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অবলোকন করার জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী।