বড়লেখায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নানা সংকট নিয়ে চলছে

20

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক শ্রেণী সংকট প্রকট। স্কুলের মাঠে মাটি বরাটের অভাবে যতনা কষ্ট করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। একটি পরিতাক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালিত হচ্ছে। এর দ্রুত সমাধান চায় ভুক্তভোগি শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
সরেজমিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও বড়লেখা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫১টি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সহকারী শিক্ষিকা অফিসার ৭ টির মধ্যে সব গুলো শূন্য। অফিস সহকারী ৩ জনের মধ্যে সব গুলো শূন্য। উচ্চ মান সহকারী ও নেই। নওয়া গাঁও, ভবানীপুর, পশ্চিম গান্দাইসহ ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক বিহীন পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ইসলামপুর, বোবারতল, গোহালী বিয়াইডর, শাহবাজপুর চা বাগানসহ ৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক সংকট। উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিভিন্ন পদে জনবল সংকট। এসব স্কুল গুলোতে শিক্ষক সংকট থাকায় শিক্ষকরা ক্লাস করতে চরম হিমশিম খেতে হয়। এলাকার অনেকে জানান, অফিসের জনবল সংকট শিক্ষক সংকটসহ শ্রেনী কক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষার মান কি আর হবে!
এদিকে স্কুলের শ্রেণী কক্ষ ও ভবন সংকট রয়েছে কলাজুরা, মুড়াউল, কাজিরবন্দ, পাবিজুরিপার, শ্রীধরপুর, বড়লেখা টিটিসি, কুঠাউরা, গগড়া, ইসলামপুর, তেরাকুরি, কঠালপুর, বাগমারা, রাঙাউটি, হিনাইনগর, পশ্চিম গান্দাই, দশঘরি, প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো চরম শ্রেণী কক্ষ সংকট নিয়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সুজানগর বালিকা স্কুলের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উপজেলা প্রকৌশলী ও শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এবং এ পরিত্যক্ত ভবনে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছে। বর্তমানেও এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। এসব স্কুলের ভবন গুলো উপরে টিনে লোহায় মরিচা দরে ছিদ্র হয়ে গেছে। একটু ঝড়, বৃষ্টি হলে টিপ টিপ করে পানি পড়ে। অফিসের কাগজপত্র ও শিক্ষার্থীদের বই খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রেণী কক্ষ, শিক্ষক ও সকল সংকট সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় সাংসদ ও বর্তমান সরকারের বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন দৃষ্টি কামনা করছেন তারা।