হিজড়াদের উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ ॥ এবার হিজড়াদের হামলায় আহত হলেন পুলিশেরই দুই কনস্টেবল

9

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরী ও শহরতলীতে হিজড়াদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। রাস্তাঘাট, বাসা বাড়ি থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, বিয়ের গাড়ী আটকে রেখে নাজেহাল ও মোটা অংকের টাকা না দিলে ছেড়ে না দেওয়া, ট্রেনে বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলে ম্যানিব্যাগ ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়া সহ নারা অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে হিজড়ারা। প্রশাসনের সামনে এসব ঘটনা ঘটলেও এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয় কিছু লোক নিজেদের হিজড়া দাবি করে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোথাও কোথাও কেউ প্রতিবাদী হলে হিজড়ারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে হামলা চালাচ্ছে। অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে কেউ কেউ হিজড়াদের দাবী অনুযায়ী টাকা-পয়সাও দিয়ে দিচ্ছেন। এরপরও দিন দিন তাদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ এ রকম ঘটনার শিকার হয়েছেন খোদ পুলিশেরই দুই সদস্য। হিজড়ারা হামলা চালিয়ে আহত করেছে তাদের। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল নগরীর প্রাণ কেন্দ্র জিন্দাবাজারে। জানা যায় বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে সিটি সেন্টার মার্কেটের বিপরীতে হাওয়াপাড়ার প্রবেশ মুখে এ ঘটনা ঘটে। আহত ২ পুলিশ কনস্টেবল হলেন মারুফ (২৩) ও কাজল (২৭)।
এদের মধ্যে মারুফের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর কাজলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিন্দাবাজারের দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট জয়ন্তচন্দ্র দাস।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- শনিবার বিকেলে জিন্দাবাজার থেকে চৌহাট্টা সড়কে ব্যাপক যানজট ছিলো। এমন যানজটের মধ্যেও চৌহাট্টার দিক থেকে উল্টোপথে আসছিল একটি সিএনজি। তখনই এগিয়ে যান একজন ট্রাফিক সদস্য। সিটি সেন্টারের সামনে আসার পর সিএনজি আটকিয়ে হাওয়াপাড়া সড়কে ঢুকার কথা বলেন ট্রাফিক কনস্টেবল মারুফ। তখনই সিএনজির ভিতরে থাকা দুইজন হিজড়া চড়াও হন মারুফের উপর। এক পর্যায় গাড়ি থেকে নেমে ২ হিজড়া মিলে তাকে কিল ঘুসি মারতে থাকেন। তখন এগিয়ে আসেন অপর কনস্টেবল কাজল। তিনি এসে দুই হিজড়াকে থামাতে চাইলে তাকেও মারধর করেন ২ হিজড়া। এ সময় তারা সড়কের পাশে সংস্কার কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা ছোট একটি বাঁশ দিয়েও ২ ট্রাফিক কনস্টেবলকে মারতে থাকেন। পরে জনগণ এগিয়ে আসলে হিজড়ারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান ট্রাফিক সার্জেন্ট জয়ন্তচন্দ্র দাস।