কানাইঘাটে ৪ কুখ্যাত ডাকাত গ্রেফতারের ঘটনায় জনমনে স্বস্তি, অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান

32

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে বড়ধরনের ডাকাতির প্রস্তুতি কালে গত শনিবার রাত ৮টায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ৪ কুখ্যাত ডাকাত পুলিশ ও জনতার হাতে আটকের ঘটনায় এলাকার জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির চেয়ারম্যান জেমসলিও ফারগুশন নানকা, লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউপির চেয়ারমান ডাঃ ফয়েজ আহমদ সহ আরো অনেকে জানিয়েছেন, ৪ ডাকাত ধরা পড়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে নতুবা এলাকায় বড় ধরনের ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হতো। এ জন্য তারা থানা পুলিশ ও যারা ডাকাতদের পাকড়াও করতে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এদিকে গ্রেফতারকৃত ৪ ডাকাতকে থানায় প্রাথমিক ভাবে ব্যাপক জিজ্ঞাসা করে তাদের অন্যান্য সহযোগিদের আটক করতে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের কয়েকজন সক্রিয় সদস্য গত শনিবার সন্ধ্যা পর থেকে লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির লোভাছড়া চা-বাগান এলাকায় একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে বড় ধরনের ডাকাতির জন্য জড়ো হয়েছিল। এ সময় স্থানীয় জনতা ডাকাত দলের অবস্থান টের পেয়ে থানার ওসি আব্দুল আহাদকে খবর দিলে তিনি দ্রুত পুরো এলাকা পুলিশের নজরদারীতে এনে লোভাছড়া চা-বাগান ঘাট এলাকায় ছুটে যান। প্রথমে জনতার সহায়তায় ২ ডাকাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ এলাকায় রেড এলার্ট জারী করে রাত ১০ টার দিকে আরো ২ ডাকাতকে আসামপাড়া এলাকা থেকে আটক করলেও তাদের বাহিনীর আরো ৩ সদস্য পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত ৪ ডাকাতের কাছ থেকে পুলিশ দেশীয় তৈরী ২টি পাইপগান, ৪ রাউন্ড গুলি, দেশীয় ধারালো অস্ত্র ১২টি, ৩টি মোবাইল সেট, ৩টি টর্চ লাইট ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত লোহার যন্ত্রপাতি, বেশ কয়েকটি মুখোশ উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মিরাছ আলীর পুত্র মরতুজ আলী (৩৫), সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার পারকুল গ্রামের আব্দুস শহিদের পুত্র সালেহ আহমদ (৩০), সিলেট এসএমপি জালালাবাদ থানার হেংলাকান্দি নওয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র রিয়াদ (৩৫), একই থানার নাওয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র মোঃ আমিন (৩৫)। থানার ওসি আব্দুল আহাদ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান গ্রেফতারকৃত ৪ ডাকাতের বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। তারা আন্তঃ জেলা ডাকাতদলের দুর্ধর্ষ সদস্য। লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় বড় ধরনের ডাকাতির প্রস্তুতি কালে তাদেরকে জনতার সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়। পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান। এদিকে ৪ ডাকাত গ্রেফতারের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।